অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। যথাযথ শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সকাল ১১টার কিছু আগে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় মরহুমের ছেলে তানভীর শাকিল জয়সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি থাকায় সীমিত সংখ্যক মানুষকে এ সময় কবরস্থানে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। দাফনের আগে তানভীর শাকিল জয় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন। দাফনের আগে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মোহাম্মদ নাসিমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে মরহুমের প্রতি ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। মরহুমের প্রতি ফুল দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এর আগে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর সোবহানবাগ জামে মসজিদে নাসিমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে জানাজার অয়োজন করা হয়। জানাজায় মরহুমের পরিবারের সদস্য ছাড়াও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ৷
করোনা উপসর্গ নিয়ে ১ জুন ঢাকার বেসরকারি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা নাসিম। চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ট্রোক হয় তার। অস্ত্রোপচারের পর তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। পরে পরীক্ষায় তার করোনা নেগেটিভ আসে। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের ভেতরে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। তিনি সংসদে পঞ্চমবারের মতো সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। মোহাম্মদ নাসিম বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রও তিনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান নাসিম। এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।