দেশের খবর : করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের ভুতুড়ে (অতিরিক্ত) বিদ্যুৎ বিল করার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আগামী সাতদিনের মধ্যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বিদ্যুৎ বিভাগ ও এর আওতাধীন দফতর ও কোম্পানির বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় আলোচনাকালে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল প্রদানের বিষয়ে পর্যালোচনা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আগামী সাতদিনের মধ্যে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল প্রদানের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ বিভাগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। কোনো অবস্থায় অতিরিক্ত বিল গ্রহণ করা যাবে না।
একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয় সভায়। সভায় বিতরণ কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা অতিরিক্ত বিলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে জানান, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল প্রদান সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে সংস্থাগুলো আলাদা আলাদাভাবে গণমাধ্যমের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে ব্যাখ্যা করবেন।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয়ে জানানো হয়, বিদ্যুৎ বিভাগ ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি বিনিয়োগ বা জিওবি খাতে ৮৭টি, প্রকল্প সহযোগিতা খাতে ১১টি ও নিজস্ব অর্থায়নে ছয়টিসহ মোট ১০৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। গত মে পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থিক ৭২ দশমিক ৩৬ শতাংশ ও ভৌত ৭০ দশমি ৬১ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। যা জুনের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সভায় মানব সম্পদ উন্নয়ন, সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প, পিডিবির বিদ্যুৎ হাব, স্মার্ট মিটারসহ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে পেপারলেস অফিস করার উপর গুরুত্ব দেন প্রতিমন্ত্রী।
ভার্চুয়াল এ সভায় বিদ্যুৎ সচিব সুলতান আহমেদ, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, আরইবির চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন এবং দফতর ও কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।