অনলাইন ডেস্ক : নিজের বাড়িতে ঠাঁই পেতে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে ছেলের বাধা বিষয়ক সোস্যাল মিডিয়ার প্রচারণাকে অতিরঞ্জন এবং অসত্য বয়ান বলেছে তার পরিবার। অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই জালালাবাদ এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সাবেক সচিব ড. একে আবদুল মুবিনের মতে, এটা উদ্দেশ্যমূলক প্রোপাগান্ডা। যার প্রতিবাদ করতেও রুচিতে লাগছে।
এদিকে যাকে জড়িয়ে এ কাহিনীর সৃষ্টি সদ্য সাবেক অর্থমন্ত্রী তনয় সাহেদ মুহিত বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই প্রচারণা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সাবেক অর্থমন্ত্রী ও তার পরিবারকে হেয় করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন মিথ্যা প্রচারণা ছড়ানো হয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদলিপিতে প্রোপাগান্ডার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মুহিতের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবেক অর্থমন্ত্রী ও সিলেট ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিত ও তার পরিবারকে নিয়ে একটি তথাকথিত সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, যেটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। জাতীয় দুর্যোগের এই কঠিন সময়ে অসাধু উদ্দেশ্যে এক বা একাধিক স্বার্থান্বেষী ও কুরুচিপূর্ণ মহল আবদুল মুহিতের মতো একজন সম্মানী ব্যক্তি ও তার পরিবারের সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টায় কেন লিপ্ত হয়েছে, এটি আমাদের বোধগম্য নয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আবদুল মুহিত একাধারে একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন রাজনীতিবিদ এবং একজন স্বনামধন্য বুদ্ধিজীবী। তিনি তার সারাটা জীবন দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করেছেন।
তার ছেলে সাহেদ মুহিত এবং তার পরিবারও দেশের প্রতি আত্মনিবেদনের একই শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ এবং সিলেট ও গোটা বাংলাদেশে তাদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। গত দুই দশক ধরে আবদুল মুহিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পর্যায়ের এবং সিলেটের অতি বিশিষ্ট ও বিদগ্ধ নেতা হিসেবে সর্বজনবিদিত। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সফল দীর্ঘকালীন অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় ও দেশ-বিদেশে প্রশংসিত অর্থনৈতিক উন্নয়নে যার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
অন্যদিকে ২০০১ সাল থেকে সাহেদ মুহিত তার বাবা আবদুল মুহিতের পাশেই রয়েছেন এবং তাকে পারিবারিক, রাজনৈতিক ও অন্য সব বিষয়ে সহায়তা করেছেন। এছাড়া বাবার নির্বাচনী এলাকা সিলেট ১-এর মানুষের পাশে সাহেদ মুহিত সবসময় ছিলেন, আছেন ও থাকবেন।
এ পরিস্থিতিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও তার পরিবারকে নিয়ে প্রকাশিত নির্লজ্জ মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করে তার পরিবার।