আন্তর্জাতিক

পুতিনের আজীবন ক্ষমতার পথ প্রশস্ত

By Daily Satkhira

July 02, 2020

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ায় সংবিধান সংশোধনের গণভোটে পক্ষে রায় দিয়েছে দেশটির জনগণ। দেশটির প্রায় ৭৮ শতাংশ ভোটার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এ রায়ের ফলে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষমতা ধরে রাখার রাস্তা পরিষ্কার হয়ে গেল। বুধবার এ গণভোট হয়। যদিও করোনা মহামারির কারণে আগের সপ্তাহজুড়ে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। তবে সমালোচকদের মতে, ভোটের ফলাফলে কারচুপির জন্য এক সপ্তাহ ধরে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। আজীবনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্যই পুতিন এ দুর্নীতির আশ্রয় নিলেন। এ নিয়ে মস্কোয় তুমুল বিক্ষোভও করেছে বিরোধীরা। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

রুশ নির্বাচনী কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার জানান, মোট ৬৪ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটদান করেছেন। এর মধ্যে সংবিধান সংশোধনের পক্ষে ৭৭.৯ ভাগ ভোট পড়েছে। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ২১.৩ শতাংশ।

এ রায়ের ফলে পুতিন সরকার সংবিধান সংশোধন করার অনুমোদন পেলো, যাতে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়া হলো। পুতিনের বর্তমান ক্ষমতার মেয়াদ এমনিতেই আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত রয়েছে। এ গণভোটের ফলে ছয় বছর করে আরও দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সুযোগ থাকবে পুতিনের। মানে, চাইলে আগামী ২০৩৬ সাল পর্যন্ত অনায়াসে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন ৬৭ বছরের পুতিন। গত ২০ বছর ধরে দেশটির প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় রয়েছেন এই নেতা।

এদিকে এ ভোটের সমালোচনা করে ক্রেমলিনের বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনি বলেছেন, এ গণভোটের ফল একটি বড় মিথ্যাচার। দেশের মানুষের মতামত এতে পরিলক্ষিত হয় না। পুতিন আজীবনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্যই এ গণভোট করলেন।

তবে এ সমালোচনাকে নাকচ করে পুতিন বলেছেন, দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্যই সংবিধান সংশোধনের এ প্রস্তাব।

নতুন সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবে রয়েছে, সমকামী বিবাহকে নিষিদ্ধ ঘোষণা, আন্তর্জাতিক আইনের উপর রাশিয়ার আইনের আধিপত্য এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার মেয়াদ টানা দু’বার ৬ বছরের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি করা। পুতিনের বর্তমান মেয়াদ ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার পর আরও ১২ বছর।

গণভোটের আগেই রাশিয়ার সংসদে অনায়াসে পাশ হয়ে গিয়েছিল এই সংশোধনী প্রস্তাব। রাজনৈতিক মহলের মতে, সংসদে পাশ হওয়া সত্ত্বেও দেশে নিজের সমর্থন অটুট প্রমাণ করতেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও গণভোট আয়োজন করেন পুতিন। এর আগে ১৯৯৩ সালে সংবিধান সংশোধন করার জন্য ভোট করা হয়েছিল।