সাতক্ষীরা

শারীরিক প্রতিবন্ধী সাজিয়ায় লেখাপড়ার দায়িত্ব গ্রহন করলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা প্রকৌ: মফিজুর

By daily satkhira

July 04, 2020

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: অভাব ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সাজিয়া সুলতানার (১৭) সাফল্যকে আটকে রাখতে পারেনি। সাতক্ষীরা সদরের আলীপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়ে সকলকে অবাক করে দিয়েছে সাজিয়া। ছোটবেলা থেকে অসম্ভব মেধাবী তিন ফুট উচ্চতার সাজিয়া ভবিষ্যতে ডাক্তর হতে চায়। সে মোট ১১শ’ নম্বরের মধ্যে ১০৩৪ নম্বর পেয়েছে। সাজিয়া পঞ্চম শ্রেণীতে বৃত্তি এবং জেএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছিল। তবে অভাবের কারণে যদি ডাক্তারী পড়তে না পারে তবে সে বিসিএস দিয়ে প্রশাসনিক ক্যাডারে যোগদিতে চায়। সাজিয়ার মা শরীফা খাতুন জানান অদম্য প্রতিভার অধিকারী সাজিয়া জন্মগত ভাবে শারীরীক প্রতিবন্ধী হলেও জীবন যুদ্ধে সে অপ্রতিরোধ্য। সাজিয়া যখন খুব ছোট তার বাবা তার মা’ শরীফা খাতুনকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করে চলে যায়। এরপর থেকে তার মা’ই তার সব। তার নানা ও মামার আশ্রয়ে ও সহযোগিতায় তার মা তাকে নিয়ে থাকেন। মা সাজিয়াকে কোলে করে তাকে স্কুলে নিয়ে যাওয় আসা করেন। নানা প্রতিকুলতার মাঝে কোনরকম অভাব অনটনে দিন চলে তাদের। পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পাওয়ার পর শত অভাব অনটনের মধ্যেও বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কিলোমাটার দূরে আলীপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তাকে ভর্তি করেন। এতদূর মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসার জন্য মা শরীফা খাতুন সাইকেল চালানো শেখেন। তিনি প্রতিদিন মেয়েকে সাইকেলে করে স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসা করতেন।এসএসসি পরীক্ষায় মেয়ে সাফল্যের মা আন্দন ভুলে যায়।তিনি চিন্তা করেন কিভাবে মেয়েকে কলেজে ক ভর্তি করবেন বা তাদের দিন কিভাবে চলবে সেই চেন্তায়।কিভাবে মেয়ে স্বপ্ন পূর্ণ হবে সেই কথা ভেবে। তবে সাজিয়া সুলতানার অসুহায়ত্বে সংবাদ প্রকাশের পরে তার লেখা পড়াসহ সকল দায়িত্ব গ্রহনের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ঢালিপাড়া গ্রামের মৃত্যু ছলেমান ঢালীর ছোট পুত্র বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ সভাপতি, আলিপুর বুড়িপুকুর কান্দা সেন্ট্রাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ও আছিয়া বেগম স্মৃতি পাঠাগারের উপদেষ্টা প্রকৌঃ মোঃ মফিজুর রহমান ঢালী। ইতি মধ্যে তিনি সীমান্ত আদর্শ কলেজে সাজিয়ার ভর্তির বিষয়ে আলাপ করেছেন। মফিজুর রহমন ঢালী এভাবে এতিমধ্যে সমাজের অনেক ব্যক্তির চিকিৎসা ও লেখাপড়ায় দায়িত্ব গ্রহন করে আসচ্ছেন।