অনলাইন ডেস্ক : দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন দুই হাজার ৯৬ জন। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও তিন হাজার ২০১ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৬৫ হাজার ৬১৮ জনে।
সোমবার (৬ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন।
তিনি ৬৮টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ হাজার ২০১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ২৪৫টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো আট লাখ ৬০ হাজার ৩০৭টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ২০১ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৬৫ হাজার ৬১৮ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪৪ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৯৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও তিন হাজার ৫২৪ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৬ হাজার ১৪৯ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের ৩৩ জন পুরুষ, ১১ জন নারী। ১৭ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন রাজশাহী বিভাগের, দুজন খুলনা বিভাগের, চারজন বরিশাল বিভাগের, তিনজন সিলেট বিভাগের, দুজন রংপুর বিভাগের এবং দুজন ময়মনসিংহ বিভাগের। ৩৫ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়।
গতকালের পরিস্থিতি গতকাল রোববারের (৫ জুলাই) বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগীদের মধ্যে আরও ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ হাজার ৯৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৭৩৮ জনের মধ্যে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয়, ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।
শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার সোমবারের বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৫ দশমিক ৯৮ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বুলেটিনে ডা. নাসিমা করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের আহ্বান জানান।
করোনাভাইরাসের ছোবলে গোটা বিশ্ব এখন মৃত্যুপুরীতে। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক কোটি ১৫ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি। মৃতের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার প্রায়। তবে সাড়ে ৬৫ লাখের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।