নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনার উপসর্গ নিয়ে কোভিড-১৯ পজিটিভি কিনা তা জানার জন্য নমুনা দিয়েও টানা কয়েকদিন অফিস করেছেন সাতক্ষীরা পৌর সভার মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি। তিনি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে করোনাক্রান্ত অবস্থায় ৫ কর্মদিবস অফিস করেছেন। আর এতে করে সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়েছেন পৌরসভার কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরসহ পৌর সেবা নিতে এই সময়ে তার সংস্পর্শে যাওয়া ব্যক্তিরা। গতকাল ৭ জুলাই জেলা সিভিল সার্জনের দেয়া তথ্য মতে ২৬ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এদের মধ্যে জেলা বিএনপির নেতা ও পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতিও আছেন। মেয়র চিশতির করোনা পজিটিভ হওয়ার রিপোর্ট যখণ আসে তখনও তিনি সাতক্ষীরা পৌর সভায় অবস্থান করছিলেন। একদিকে বলা হচ্ছে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানায় সংক্রমণের ঝুঁকি ক্রমেই বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে পৌর মেয়রের মত দায়িত্বশীল ব্যক্তি নিজেই স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে অফিস করেছেন- যা সাধারণ জনগণের সামনে ভুল বার্তা পৌঁছে দিতে পারে বলে মনে করেন সচেতন মানুষ।
তবে মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি জানিয়েছেন, তিনি ৫ দিন আগে কভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে ছিলেন। আজ(মঙ্গলবার) তার পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। রিপোর্ট পজেটিভ জানার পর থেকে তিনি আর অফিসে যাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন গণমাধ্যমকে জানান, গত ১ জুলাই তাসকিন আহমেদ চিশতির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা দেয়ার পর মেয়রের স্বাস্থ্যবিধি মেনে আইসোলেশনে থাকার কথা রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত। কিন্তু তিনি তা না মেনে নিয়মিত অফিস করেছেন। সভা-সমাবেশেও গেছেন যা খুবই দুঃখজনক। এখন তার অফিসের যেসব কাউন্সিলর-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতা তার সংষ্পর্শে এসেছেন সবাই স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। এসব কারণে সাতক্ষীরা পৌরসভা করোনার হটস্পট হয়ে যেতে পারে।
সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন জানান, মেয়র করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিয়মিত অফিস করার কারণে পৌরসভার ১০-১২ জন কর্মচারী সর্দি, জ্বর ও কাশিসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে ভুগছে। পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন কালু জানান, ইতিমধ্যে কয়েক জন পৌর কর্মচারী অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়েছে।
এদিকে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছেন, গত রবি, সোম ও মঙ্গলবার প্রতিদিনই পৌরমেয়র তিনদিন অফিস করেছেন। এসময় পৌর সভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও নিয়মিত অফিস করেছেন। অসংখ্য মানুষ মেয়রের সাথে সাক্ষাত করেছেন। সাতক্ষীরা পৌরসভার সচিব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।