নিজস্ব প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা গাইনবাড়ী হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা লিল্লাহ বোর্ডিং এর দেড় লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় আত্মসাথকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ৫ জুলাই গাবুরা গাইনবাড়ী হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা লিল্লাহ বোর্ডিং এর সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মাকছুর রহমান গাইন স্বাক্ষরিত অভিযোগে জানা গেছে, গাবুরা গাইনবাড়ী হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা লিল্লাহ বোর্ডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে অনেক গরিব অসহায় শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সভাপতি খলিসাবুনিয়া এলাকার মৃত. আনোয়ার আলী গাইনের পুত্র জি এম মুশফিকুর রহমান(ছন্টু) ও মৃত. মাহতাব উদ্দীনের পুত্র কামরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামে সোনালী ব্যাংক শ্যামনগর শাখায় প্রতিষ্ঠানে যৌথ ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। যার একাউন্ট নং ২৮১৯২০০০০১৭৭৫। উক্ত একাউন্ট থেকে কমিটির অন্যান্য সদস্যদের অবগত না করিয়ে এবং কোন রেজুলেশন না করে ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন ওই সভাপতি ছন্টু ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল। বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের কাছে টাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এছাড়া ওই একাউন্টে থাকা আরো টাকা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আত্মসাতের পায়তারা করছেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় গাবুরাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি গাবুরা ইউনিয়নের মানুষ অবিলম্বে ওই অর্থ আত্মসাথকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক আর যাতে ওই একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মুশফিকুর রহমান ছন্টু বলেন, এতিম খানার টাকা আত্মসাতের কোন প্রশ্নই উঠে না। এলাকায় দলাদলির কারণে এধরনের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা অত্যান্ত স্বচ্ছভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করি এবং খাওয়ানোর পরে বিল জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করি। সেখানে আত্মসাথের কোন সুযোগ নেই।