দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটার কামতা গ্রামে এক হিন্দু পরিবারের ছয় সদস্যকে অচেতন করে লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে প্রতিদিনের ন্যায় সকলে ঘুমিয়ে পড়লে কে বা কারা অচেতন করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ সহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য রেখা চক্রবর্তী জানান, বুধবার রাত আটটার দিকে হঠাৎ তাদের বাড়িতে গ্যাস জাতীয় দ্রব্যের গন্ধ বের হতে থাকে। এ সময় পরিবারের সদস্যেরা এদিক-ওদিক খোঁজখবর নিলে কোন কিছু দেখতে না পেয়ে রাতের খাবারের জন্য প্রস্ততি নেয়। খাওয়ার পর সবাই নিজ নিজ ঘরে আসার পর অচেতন হয়ে পরেন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পায় সে। এরপর ঘরের ভিতরে থাকা টিনের বাক্স, শোকেস, আলমারি খোলা দেখে চমকে উঠে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে। তখনও পাশের ঘরে তার পরিবারের বাকি সদস্যরা অচেতন হয়ে পড়ে থাকলে এক গ্রাম্য ডাক্তার কি খবর দেওয়া হয়। ওই ডাক্তার এসে সকল প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। আহতরা হলেন কামটা গ্রামের মৃত আনন্দ চক্রবর্তীর ছেলে হারাণ চক্রবর্তী তাঁর স্ত্রী অঞ্জনা চক্রবর্তী, মেয়ে পাপিয়া চক্রবর্তী, মা নিহার চক্রবর্তী এবং তার বোন রেখা চক্রবর্তী। তাদের মধ্যে হারান চক্রবর্তী ও পাপিয়ার অবস্থা আশংঙ্কাজনক। দুষ্কৃতকারীরা ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। উল্লেখ্য যে গত দুইদিন আগে দুইজন ব্যক্তি লেবুবাগান কেনার নামে তাদের বাড়িতে আসেন। ওই ব্যক্তিরা বাগান কেনার জন্য আসলেও বাড়ির চারপাশ ভালোভাবে লক্ষ্য করে বিষয়টি পরিবারের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য নির্মাল কুমার মন্ডল জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমি তাদের বাড়িতে যাই এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। পরিবারের সদস্যরা সুস্থ হলে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে। বিষয়টি আমি দেবহাটা থানার ওসি মহোদয়কে অবহিত করেছি।