দেশের খবর : নাটোরের বড়াইগ্রামে করোনা পরিস্থিতিতে চাকরি হারিয়ে জেনি বেবি কস্তা নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ভুক্ত ওই তরুণী আত্মহত্যার আগে একাধিক স্ট্যাটাসে তিনি আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। শনিবার বিকালে উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের বাহিমালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জেনি বাহিমালি গ্রামের মৃত আব্রাহাম কস্তার মেয়ে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর গত ১৬ বছরে জেনি আর কারো সঙ্গে ঘর বাঁধেননি। এরপর জীবিকার প্রয়োজনে তিনি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি নেন।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে চাকরি হারিয়ে তিন মাস যাবৎ তিনি গ্রামে এসে ভাইয়ের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ভাই-ভাবি ও ভাতিজাদের হাতে একাধিকবার মারপিটের শিকার হন তিনি।
চাকরি চলে যাওয়াসহ স্বজনদের কাছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাবা-মা, স্বামী-সন্তান হারা জেনি মানসিকভাবে চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
এ কারণে তিনি সম্প্রতি ফেসবুকে আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে একাধিক স্ট্যাটাস দেন। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে ‘আমি মরে গেলে তোরা এগুলো দেখিস’ স্ট্যাটাস দিয়ে সেখানে তার বিভিন্ন সময়ে তোলা ২৬টি ছবি আপলোড করেন। পরে শনিবার বিকালে নিজ শোবার ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস নিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
এ ব্যাপারে বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।