বিদেশের খবর : সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঐতিহাসিক একটি মহাকাশযান এখন মঙ্গল গ্রহের পথে। জাপান থেকে উৎক্ষেপণের পর এটি প্রায় পাঁচশ মিলিয়ন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিচ্ছে। মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ে পরীক্ষা করতে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এর আগে দুবার প্রস্তুতির পরেও এ মিশনের উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হয়েছিলো। খবর বিবিসির
মহাকাশযানটি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পৌঁছাবে যা কাকতালীয়ভাবে আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী।
মিশনটির বৈজ্ঞানিক দলের প্রধান সারাহ আল হামিরি মহাকাশযানটির সফল উৎক্ষেপণের পর তার স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, তার দেশের ওপর এর প্রভাব অনেকটাই ৫১ বছর আগে আমেরিকার চাঁদে পা রাখার মতো। সেটিও ২০শে জুলাই তারিখেই হয়েছিলো।
সারাহ বলেন, আজ আমি আনন্দিত যে আরব আমিরাতের শিশুরা ২০শে জুলাই তারিখে ঘুম থেকে উঠে তাদের নিজস্ব অভিযানটি দেখতে পাবে, যা নতুন একটি বাস্তবতা। যা তাদের নতুন কিছু করতে উদ্বুদ্ধ করবে।
আরব আমিরাতের এ মিশনটিসহ এ মাসেই তিনটি মিশন রওনা দিতে যাচ্ছে মঙ্গলে।
কেন মঙ্গলে আরব আমিরাত?
মহাকাশযান ডিজাইন ও নির্মাণ করার ক্ষেত্রে আরব আমিরাতের অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই। এবং তারা এমন একটি কাজে হাত দিয়েছে যা এর আগে কেবল যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপ ও ভারত এটি করতে পেরেছে।
তবে আরব আমিরাতের উচ্চাভিলাষ তাদেরকে চ্যালেঞ্জটি নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, মঙ্গল থেকে কিভাবে বাতাস কমে গেলো কিংবা পানির বিষয়টি বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
তবে হোপ মিশন আসলে পরিণত হবে অনুপ্রেরণার বাহন হিসেবে যা আরব আমিরাতসহ পুরো আরব অঞ্চলের তরুণদের বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে আকৃষ্ট করবে।
দেশটির সরকার বলছে এ মহাকাশযাত্রা তেমন কিছু প্রকল্পের অংশ যা দেশটিকে তেল গ্যাস নির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজের দিকে নিয়ে যাবে।