দেশের খবর : করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ও রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ শাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এনআরবি ব্যাংক থেকে হাসপাতালের নামে ঋণ বাবদ দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে এই মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (২২ জুলাই) সংস্থাটির ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল, এনআরবি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসএমই ব্যাংকিং) ওয়াহিদ বিন আহমেদ এবং কর্পোরেট হেড অফিসের সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. সোহানুর রহমান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর রিজেন্ট হাসপাতালের নামে হিসাব খোলা হয়। চলতি হিসাবটি খোলার সময় সাহেদের কোনো টাকা জমা হিসাবে গ্রহণ করা হয়নি। ছিল না ঋণের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত জামানত। ঋণ বিতরণের আগে বা পরে যথাযথ তদারকিও করা হয়নি। অথচ হিসাব খোলার একদিন আগেই ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. সোহানুর রহমান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদ বিন আহমেদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণ মঞ্জুরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন। এমনকি ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা হয়নি। কেবলমাত্র ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তানুযায়ী এফডিআর করেছিলেন সাহেদ। পরে সাহেদ ঋণ পরিশোধ না করে উক্ত এফডিআর ক্লোজ করে ঋণ সমন্বয় করেন।
সূত্র আরও জানায়, শাহেদ স্বেচ্ছায় কখনও ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায় আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এনআরবি ব্যাংক থেকে দুই টার্মে ঋণ রিসিডিউলসহ ২ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৮৭ টাকা ঋণ দিয়েছেন। যার মধ্যে ৬৫ লাখ ৭৯ হাজার ২২৭ টাকা সুদ ও অন্যান্য চার্জ ধার্য কেটে রাখা হয়। তবে সুদসহ ব্যাংকের এক কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৫ আত্মসাতের অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে দুদকের অনুসন্ধান টিম। যে অপরাধে মামলাটি দায়ের করা হয়। ২১ জুলাই (মঙ্গলবার) মামলাটি অনুমোদন দেয় দুদক।