নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনার টেস্ট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার হওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিসেনর রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরার আমলী আদালত- ৩ এর বিচারক (ভার্চুয়াল) রাজীব রায় মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা খুলনা র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের উপপরিদর্শক রেজাউল করিমের ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন শুনানী শেষে বিচারক এ আদেশ দেন। রিমাণ্ড মঞ্জুর হওয়া আসামী হলেন ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও এক সময়কার সাতক্ষীরা শহরের কামান নগরের বিশিষ্ঠ ঠিকাদার ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাফিয়া করিমের ছেলে। সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক অমল কুমার রায় জানান, গত ১৫ জুলাই বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তের লবঙ্গ নদীর উপর নির্মিত ব্রেইলী ব্রীজ এর নীচ থেকে সাহেদকে বোরখা পরিহিত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউণ্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাতেই র্যাব-৬ এর সিপিসি-১ এর ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্টের ১৯-এ উপধারা এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ এর বি/এ ধারায় দেবহাটা থানায় একটি মামলাটি(৫নং) করেন। মামলায় সাহেদ করিমকে প্রধান আসামিসহ একজনকে পলাতক ও অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়। মামলার তদন্তভার পান দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক উজ্জ্বল কুমার মৈত্র। তিনি আরো জানান, গত ২২ জুলাই মামলাটির তদন্তভার র্যাব এর উপর ন্যস্ত হয়। মামলার কেস ডকেট হাতে পাওয়ার পর মামলার নতুন তদন্তকারি কর্মকর্তা খুলনা র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের উপপরিদর্শক রেজাউল করিম সায়েদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করেন। সায়েদ বর্তমানে ঢাকার একটি জেলখানায় থাকায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুনানীর মাধ্যমে এ রিমাণ্ড শুনানী শেষে বিচারক রাজীব রায় তার রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।#