দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এবার এসএসসিতে পাসের হার ৮১.২১ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৬.২০ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৮. ৬৯ শতাংশ। আর ১০ বোর্ড মিলিয়ে মোট পাসের হার ৮০. ৩৫ শতাংশ। সব বোর্ডেই এবার পাসের হার ও জিপি-৫ এর সংখ্যা কমেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ফলাফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন। দুপুরে সব শিক্ষা প্রতষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবে।
এ বছর সারা দেশের জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ শিক্ষার্থী। ঢাকা বোর্ডের পাসের হার ৮৫.৭৩। এ বোর্ডের জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ হাজার ৪৮১ শিক্ষার্থী।
চলতি বছর যশোর বোর্ডে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হারে ৮০.০৪ শতাংশ। আর জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৪৬৯ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৫২৪ ছাত্র এবং ২ হাজার ৯৩৬ ছাত্রী।
দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৮৩.৯৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৯২৯। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৫৯.০৩ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৪৫০ জন।
সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮০.২৬ শতাংশ। আর জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬৬৩ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে এক হাজার ৪২৭ জন ছেলে ও এক হাজার ২৩৬ জন মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে । গত বছর সিলেট শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ-৫ এসেছিল ২ হাজার ২৬৬। যা গত বছরের তুলনায় ৩৯৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে।
চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮৩.৯৯ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৩৪৪ জন শিক্ষার্থী। রাজশাহী বোর্ডে পাস করেছে ৯০.৭০ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ৩৪৯ শিক্ষার্থী। বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৭৭.২৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ২৮৮ শিক্ষার্থী।
এদিকে, কারিগরি বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ১৭৮ শিক্ষার্থী। আর মাদ্রাসা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী।
এবার এসএসসিতে ছাত্রদের গড় পাসের হার ৭৯.৯৩ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হারে ৮০. ৭৮ শতাংশ।