কলারোয়া

কলারোয়ার জননী নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ

By daily satkhira

July 27, 2020

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলারোয়ার কাজীরহাটের জননী নার্সিং হোম ক্লিনিক লাইসেন্স ছাড়াই ক্লিনিক পরিচালনা এবং ভূয়া চিকিৎসক ও নার্স দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা সির্ভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কলারোয়া উপজেলার নাকিলা গ্রামের খোরশেদ আলীর পুত্র রমজান আলী। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তিনি একজন অসহায় ট্রাক চালক। সম্প্রতি তার পিতার প্র¯্রাব বন্ধ হয়ে গেলে কাজীর হাটের জননী নার্সিং হোম ক্লিনিকে নিয়ে যান। ক্লিনিক পিতাকে কয়েকটি ইনজেকশন ও স্যালাইন দিয়ে বলে রোগী সুস্থ্য হয়ে গেছে বাড়ি নিয়ে যাও। সে সময় তার হাতে একটি ব্যবস্থাপত্র দেন। তবে ক্লিনিকে নিয়ে গেলে যে ইনজেকশন দেওয়া হয় তা সারা পৃথিবীতে নিষিদ্ধ। ইনজেকশন দেওয়ার পর খালি শিষা তুলে নিয়ে চিকিৎসক ও ফার্মেসিতে দেখালে তারা বলে একটি তো পৃথিবীতে নিষিদ্ধ। এঘটনা জানাজানি হলে ক্লিনিকের মালিক আশরাফুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা তাকে ডেকে জোরপূর্বক ওই ইনজেকশনের শিষাগুলো কেড়ে নেয়। এছাড়া তার পিতার চিকিৎসা বাবদ ১ হাজার ৯৭০ টাকা বিল দেন। ওই ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী আমার বিল হতে সর্বোচ্চ ৮শত টাকা। অথচ সেখানে ১ হাজার ৯৭০ টাকা বিল করে। ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্লিনিকের মালিক জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে ১৫০০ টাকা আদায় করে এবং খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে। তারা আরো জানান, ওই ক্লিনিকের কোন রেজিষ্ট্রেশন নেই। বিধিমোতাবেক এমবিবিএস চিকিৎসক, প্রশিক্ষিত নার্স থাকার কথা থাকলেও তা নেই। সাইনবোর্ডে থাকে একজন চিকিৎসকের নাম আর অপারেশন করে অন্যজন। ক্লিনিকে ভর্তি হলেই হাজার হাজার টাকা বিল ধরিয়ে দেওয়া হয় রোগীর পরিবারকে। এছাড়া তার ক্লিনিকে টেকনোলোজি ল্যাব এবং কোন টেকনোলোজিস্ট না থাকলেও ভূয়া স্বাক্ষর করে রক্তের গ্রুপিংসহ বিভিন্ন পরীক্ষার নামে হাজার হাজার টাকা উত্তোলন করে। ক্লিনিক মালিক আশরাফুল নিজেই টেকনোলোজিস্ট সেজে মানুষের জীবন বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু এ ক্ষেত্রেই নয় তার ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে অপচিকিৎসার কারণে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে। অনেকেই ভুল চিকিৎসার কারণে ক্ষত নিয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করে যাচ্ছেন। এবিষয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়েত বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।