নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় পৌর কাউন্সিলর শহিদুল গং ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে এক দীনমজুরের ডিসিআরকৃত সম্পত্তি দেখলের চেষ্টা এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসকাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন পৌর সদরের দহকুলা (চামটাপাড়া) গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে দীনমজুর মহব্বত আলী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দহাকুলা মৌজার ২৪ ও ২৫ দাগে মোট ৫০ শতক জমি ১৯৮৭ সাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে তিনি ভোগ দখল করে আসছেন। ২০১৪ সালে ওই জমি তিনি সরকারের কাছ থেকে ডিসিআর গ্রহণ করেন। কিন্তু সম্প্রতি ওই সম্পত্তির উপর নজর পড়ে কুখরালী এলাকার শুকুর আলীর ছেলে কুখ্যাত ভূমিদস্যু একাধিক নাশকতা মামলার আসামি পৌর কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম গংদের। আমি দীনমজুর হওয়ায় শহিদুল ও তার ভাই সিরাজুল, বড় ছেলে খোকন, আমিন উদ্দিনের ছেলে আনার ও অরিফুলসহ তার সহযোগিরা গায়ের জোরে ওই সম্পত্তি দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করে। সে কারণে ২০১৫-১৬ সালে ওই সম্পত্তি ইজারা নেয়ার জন্য আবেদন করলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ আবেদন গ্রহণ করে আমাকে ওই জমিতে দখলে থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়। কিন্তু পাউবো’র সার্ভেয়ার নুরুল্লাহ ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে ওই জমি আমাকে না দেয়ার জন্য পায়তারা শুরু করেছে। কিন্তু এরপরও ভূমিদস্যু শহিদুল কাউন্সিলর ও তার সঙ্গীরা জমি দখলের জন্য প্রকাশ্যে হুমক দিচ্ছে। আর এতে বাধা দিতে গেলে আমাকে ও পরিবারের সদস্যদের হত্যা করবে বলেও হুমকি দিচ্ছে তারা। এরই প্রেক্ষিতে গত ২০ এপ্রিল শহিদুলের ভাই হাফিজুল, বড় ছেলে খোকন ও ভাগ্নে আনারসহ দূর্বৃত্তরা আমার সম্পত্তিতে প্রবেশ করে ভাংচুর চালায়। এসময় তারা এক সপ্তাহের মধ্যে আমাকে জমি ছেড়ে চলে যেতে বলে। না গেলে আমাকে ও পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে লাশ গুম করা হবে বলে হুমকি দেয়। এতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বর্তমানে তিনি চরম নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন। তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি ছিলো খাস জমি প্রকৃত ভূমিহীনদের মধ্যে বন্টন করা। কিন্তু শহিদুলের মত ভূমিদস্যুদের কারণে জননেত্রীর এই মহান উদ্যোগ ব্যহত হতে বসেছে। সে একের পর এক ভূমিহীনদের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে। তিনি তার দখলীয় খাসজমি রক্ষা ও ভূমিদস্যু শহিদুল কাউন্সিলর গংদের অত্যাচার নির্যাতন থেকে তাকে ও পরিবারের সদস্যদের রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।