শ্যামনগর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী শিক্ষকরা বলেন আমাদের চাকরি জীবনে এত বড় ঘুষখোর অফিসার এই উপজেলায় কখনো আসেনি। উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি /সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যান্য নেতারা সেই সাথে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু প্রভাবশালী ও ইউনিয়নের সচিবদের মাধ্যমে এই ঘুষ বাণিজ্য চালানো হয়েছে, বলেও অভিযোগ করেন। ইতিমধ্যে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কটি টাকা বরাদ্দের পার্সেন্ট হারে কালেকশন করিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আক্তারুজ্জামান মিলন। এক প্রধান শিক্ষক আবেগঘন কণ্ঠে বলেন ভাই আমার চাকরি জীবনের শেষ বয়সে এসে এরকম শিক্ষা অফিসার পেয়েছি যে প্রতিটা ক্ষেত্রে টাকা ছাড়া কথা বলে না। কুড়ি একুশ অর্থবছরে, প্রাক প্রাথমিক, রুটিন মেনটেন, স্লিপ বরাদ্দ, ক্ষুদ্র মেরামত, আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত, খাতে সরকার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর অবকাঠামো উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে উপজেলা টিতে। ইতিমধ্যে উপজেলার ৫৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষুদ্র মেরামত এর জন্য, ২ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে যানান। অধিকাংশের প্রধান শিক্ষক কাজ না করে পার্সেন্ট হারে কমিশন দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে চেক ছাড়িয়ে নিয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, আমাদের সংশ্লিষ্ট এটিও দের কাছে কাজের প্রত্যয়ন পত্র রয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে কথা বললে জানান, স্কুলগুলোতে কাজ করার পরে আমাদের কাছ থেকে কোনো রকম প্রত্যায়নপত্র নেয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি অফিসার আ,ন,ম আবু জার গিফারি বলে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের বরাদ্দের বিষয়ে আমার কিছু জানানেই, আমি প্রথম আপনার কাছেই শুনলাম, শুধু শিক্ষা কর্মকর্তা নয়, যে কোন ব্যক্তি নিয়মের বাইরে কাজ করে থাকেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত, যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করে তার তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন বলেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইন বহির্ভূত কাজ করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।