কলারোয়া

কলারোয়ার বসন্তপুরের জমি লিজ নিয়ে নয় ছয়ের করার অভিযোগ

By daily satkhira

July 31, 2020

কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়া উপজেলা জয়নগর ইউনিয়নের বসন্তপুরের ঘেরের জমির লিজ নিয়ে নয় ছয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ১০ বছরের জন্য এই জমি পূর্বেই লিজ নিয়েছে বসন্তপুর গ্রামের আজিজুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মোখলেসুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, সকলের পিতা মৃত জোহর আলী মোড়ল সর্ব সাং বসন্তপুর স্থানীয়দের ভাষ্যমতে বাংলা ১৪ ২৩ সালের ১লা বৈশাখ থেকে ১৪৩৩ সালের ১লা বৈশাখ পর্যন্ত ১০ বছরের জন্য এই জমি ডিট করে লিজ দেওয়া হয় জমির পরিমাণ ১৩০ বিঘা। দীর্ঘদিন ধরে বসন্তপুরের এই জমি তে সব সময় জলবদ্ধতা থাকার কারণে হতোনা কোন প্রকার ফসল, এমনকি মাছ চাষ করা যেত না। যে কারণে লিজ গ্রহীতাদের নিকট জমির মালিক গন তাদের জমি নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ জানান, তাহার প্রেক্ষিতে লিজ গ্রহীতারা শর্তসাপেক্ষে ওই জমি লিজ নিতে রাজি হন। জমির মালিকদের সত্ত থাকে যে ইরি ধানের সময় তাদের জমি চাষের উপযোগী করে দিতে হবে। ফলশ্রুতিতে জমি লিজ গ্রহীতারা ইরি মৌসুমে মেশিন লাগিয়ে পানি ছেচে ধান চাষের উপযোগী করে দিতেন। লিজ দেওয়ার সময় তদনীন্তন উপজেলা চেয়ারম্যান কলারোয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ ও জয়নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে সাক্ষী রেখে একটা ডিট তৈরি করা হয়েছে।কৃষকদের অভিযোগ এই কালভাট হচ্ছে ওই বিলের মরণফাঁদ, কারণ কপোতাক্ষ জোয়ারের পানি উঠে বসন্তপুর চাষাবাদের বিলের অধিকাংশই জমি তলিয়ে থাকে সব সময়। যার কারণে মাছ চাষ ও ধান চাষ করা যেত না, লিজ দেওয়ার পর কালভাট বন্ধ করে চারটি মেশিন দ্বারা প্রতিবছর পানি নিষ্কাশন করে ওই বিলে ইরি ধান চাষ করার ব্যবস্থা করেন লিজ গ্রহীতা বিগত চার বছর লিজ দাতা কৃষকেরা ধান চাষ করে লাভবান হয়েছে, এবং তাদের স্বচ্ছলতা ফিরেছে বলে জানান।সরেজমিনে গিয়ে আরো জানা যায় যে ২০ থেকে ২৫ বিঘা জমির মালিক শত্রুতাবশত বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং অন্য জমির মালিকের ক্ষতি করার মানসে ৮৮%ভাগ চাষিরা যাহাতে লিজের টাকা না পাই এবং ধান চাষ না করতে পারে সে জন্য কিছুসংখ্যক জমির মালিক কালভাট টা খুলে দিতে চাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকালে বসন্তপুর বিলে গেলে দেখা যায়, যে যদি ওই কালভাট টা খুলে দেয়া হয় তাহলে ধান ও মাছ চাষ করা সম্ভব হবে না। কপোতাক্ষের পানির জোয়ারের কারণে সব সময় জলবদ্ধতা থাকবে। যে কারণে ৮৮% ভাগ জমির মালিক কালভার্টের নিচে মাটি না সরিয়ে কালভার্টের বন্ধ রেখে তাদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। স্থানীয়দের মতে যদি এই কালভাট খুলে দেয়া হয় তাহলে ক্ষতিতে পড়বে বসন্তপুরের এই জমির অধিকাংশ কৃষক। এ বিষয়ে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান পূর্বেই এই জমি ১০ বছরের চুক্তি আছে কিন্তু কয়েকদিন আগে আমি জানতে পারলাম যে ১৫ থেকে ২০ জন কৃষক বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ।এ বিষয় লিজ গ্রহীতা,আজিজুল ইসলাম জানান আমরা পূর্বে থেকেই ১০ বছরের জন্য জমি লিজ নিয়েছি কিন্তু, স্বার্থনেশি একটি মহল ইন্দন দিয়ে জমির মালিকদের মধ্য বিভেদ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এর প্রতিকার চাই। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী জেরিন কান্তার নিকট জানতে চাইলে বিস্তারিত ঈদের পর জানানো হবে বলে জানান।