সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় ইজিবাইক চালক স্কুল ছাত্র হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা

By Daily Satkhira

August 11, 2020

আসাদুজ্জামান : নিখোঁজের ১০ দিন পর সাতক্ষীরার বাঁকাল এলাকার একটি পরিত্যক্ত ইট ভাটার সেফটি ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্র ও ইজিবাইক চালক ময়নুর রহমানের গলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চার জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার রাতে নিহতের বাবা সুরত আলী বাদী হয়ে এক জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো তিন জনের নামে এ মামলাটি দায়ের করেন। ইতিমধ্যে এ মামলার অন্যতম আসামী হুমায়ন কবিরকে তার শ^শুর বাড়ি শ্রীরামপুর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ সদর উপজেলার বাঁকাল এলাকার জয়েন্ট ব্রিকস নামক একটি পরিত্যক্ত ইট ভাটার সেফটি ট্যাংক থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী হুমায়ন কবির (৩৬) সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে। পুলিশ জানায়, ঈদের আগের দিন গত ৩১ জুলাই সদর উপজেলার পাঁচরকি গ্রামের সুরত আলীর ছেলে ও মীর্জাপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শেনীর ছাত্র ময়নুর (১৬) তার লেখা পড়া শেষ করে বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে বড় ভাইয়ের ইজিবাইকটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে সাতক্ষীরা শহরের দিকে আসে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে ইজিবাইক ভাড়ায় চালানোর পর সে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় পরদিন পহেলা আগষ্ট (ঈদের দিন) ময়নুরের চাচা আফছার আলী সদর থানায় ময়নুর নিখোঁজের হয়েছে মর্মে একটি জিডি করেন। জিডির সূত্র ধরে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সদর থানা পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হুমায়ন কবিরকে তার শ^শুর বাড়ি শ্রীরামপুর থেকে গ্রেফতার করেন। একই সঙ্গে উদ্ধার করেন ময়নুরের ইজিবাইক। এরপর তার দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক বাঁকাল এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ইট ভাটার সেফটি ট্যাংক থেকে ময়নুরের লাশ উদ্ধার করা হয়। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা সুরত আলী বাদী হয়ে এক জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো তিন জনের নামে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আরো জানান, নিহতের লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।