ডেস্ক রিপোর্ট : শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আবাদ চণ্ডিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে জনবল নিয়োগে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবাদ চণ্ডিপুর মাধ্যমিক বিল্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর পদে লোক নিয়োগের জন্য বহু দিন ধরে আলোচনা চলছিল। যদিও এখনো পর্যন্ত কোন ল্যাব চালু হয়নি। অথচ কম্পিউটার ল্যাব খোলার আগেই ল্যাব অপারেটর পদে চাকরির জন্য আবেদন গ্রহনের অভিযোগ আছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সাথে সাথে ম্যানেজিং কমিটি এবং প্রধান শিক্ষকের সীমাহীন দূর্নীতির জন্য যে প্রার্থী বেশি টাকা দেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি সিধান্ত গ্রহন করেছে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ের ১নং ওয়ার্ডের আবাদ চণ্ডিপুর গ্রামের নুর ইসলাম গাজীর ছেলে আশরাফ হোসেনর কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরী পাইয়ে দেওয়ার গোপন চুক্তি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে । যদিও প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবেদন ও নিয়োগের বিষয় অস্বীকার করে বলেছেন ল্যাবই নাই সেখানে আবেদন করবে কিভাবে। অথচ আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন তিনি কম্পিউটার অপারেটর পদে আবেদন করেছেন। আবেদন প্রাত্যাশী রাসেল হোসেন রাজ অভিযোগ করে জানান, কম্পিউটার অপারেটর নিবে বলে লোক মুখে শুনে তিনি আবেদন করতে ইচ্ছুক ছিলেন। কিন্তু লোক নেওয়া হয়েগেছে বলে শুনেছেন। তিনি জানান, এখানে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আশরাফনামের একজনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু জাহিদ জানান, তাদের স্কুলে এখনো কোন ল্যাব নাই। ম্যানেজিং কমিটির সিন্ধান্ত মোতাবেক ল্যাব চালুর জন্য আবেদন করা হয়েছে। কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ বিষয়টি সত্য নয়। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজুল হক জানান, নিয়োগের বিষয়ে কোন কথা হয়নি। ল্যাব চালুর আবেদন করা হয়েছে। ল্যাব চালুর আগে নিয়োগ দেওয়া বৈধ নয়। একজন প্রার্থী আবেদন করলো কিভাবে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার কাছে কেউ আবেদন করে। এবিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।