অনলাইন ডেস্ক : থানায় নিয়ে এক যুবলীগ নেতাকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মিজানুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) তাকে দুর্গাপুর থানা থেকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। নেত্রকোনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আহত যুবলীগ নেতার নাম আলম তালুকদার। তিনি দুর্গাপুরের বাকলজোড়া গ্রামের মৃত আলাল তালুকদারের ছেলে এবং সাবেক এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদারের ভাতিজা। আলম তালুকদার বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, দুর্গাপুর থানা পুলিশ সোমবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় একটি মারামারির ঘটনায় আলম তালুকদারসহ কয়েকজনকে আটক করে। থানায় নেয়ার পর ওসির নির্দেশে আলমকে মারধর করা হয়। এতে আলম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পুলিশ ও স্বজনরা দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে খবর পেয়ে মঙ্গলবার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সীসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তারা ওসি মিজানুর রহমানকে দুর্গাপুর থানা থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তার জায়গায় জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ নুর এ আলমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, ওসি মিজানুর রহমানকে থানা থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য অতিরিক্ত ডিআইজিকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।