অনলাইন ডেস্ক : এএসআইকে চড় মারার ঘটনায় বরগুনার বামনা থানার ওসি ইলিয়াছ আলী তালুকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
শনিবার দুপুরে বামনা উপজেলা শহরে মানব বন্ধন কর্মসূচিতে শত শত মানুষের সামনে একই থানায় কর্মরত এক এএসআইকে চড় মারেন তিনি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
তদন্ত কমিটির সুপারিশে তাকে বামনা থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও এ ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান মো. মফিজুল ইসলাম।
মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘দায়িত্বরত এএসআইকে চড় মারার ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তাই আমাদের তদন্ত প্রতিবেদনে বামনা থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ আলী তালুকদারকে প্রত্যাহারসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ইলিয়াছ আলী তালুকদারকে বামনা থানা থেকে প্রত্যাহার করে বরগুনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।’
বরিশালের ডিআইজি অফিসের এক চিঠির মাধ্যমে বামনা থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে ১০ আগস্ট ভুক্তভোগী ওই এএসআইকেও বামনা থানা থেকে প্রত্যাহার করে বরগুনার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের মৃত্যুর পর গ্রেপ্তার ও কারাবন্দী শাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবিতে শনিবার বামনা কলেজ রোডে সিফাতের সহপাঠী ও এলাকাবাসী আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি পণ্ড করার সময় কর্তব্যরত এএসআইকে চড় মারেন বরগুনার বামনা থানার ওসি ইলিয়াছ। বিষয়টি তদন্তের জন্য গত ৯ আগস্ট বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন ৩-সদস্যের একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেন।