নিজস্ব প্রতিবেদক: শহরের পলাশপোলে এক অসহায় দিনমজুরের জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে সিটি কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৬টার দিকে শহরের পলাশপোল নিকারী পাড়ায় (গুড়পুকুর এলাকায়)। এব্যাপারে সদর থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, পলাশপোল মৌজার সিএস এর ১৭৬১ খতিয়ানের এসএ খতিয়ানের ১৭৬৩ খতিয়ানে ১১৩৪২ দাগের ৫শতক জমি পৈত্রিক সম্পত্তি পায় মৃত দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে অছিকা খাতুন (৬৪)। তিনি তার পরিবার নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু সাবেক সাংসদ ও আ’লীগ নেতা ডা. মোখলেছুর রহমানের ভাইরা সিটি কলেজের প্রিন্সিপাল আবু সাঈদ ভূয়া কাগজ পত্র দেখিয়ে ১শতক জমি (১টি ঘর) প্রাথমিক ভাবে জোর পূর্বক দখল নেয়। সেখানে তার দখল বজায় রাখতে আশাশুনির কচুয়া গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী হোসনে আরা খাতুন কে সেই ঘরে ভাড়াটিয়া হিসেবে রাখা হয়েছে। এঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করে (যার নং পি-১০৮৪/১৬ ধারা-১৪৪, তাং-৬/১০/১৬)। পরবর্তীতে দখল পাঁকাপক্ত করতে পাওয়ার হাউজের ইঞ্জিনিয়ার মতিয়ার সহ অন্যান্যদের ম্যানেজ করে সেখানে একটি মিটার নেয়া হয়। এব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার মতিয়ার রহমানের কাছে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আ’লীগ নেতারা আমাকে বলেছে বলে আমি মিটার দিয়েছি। তবে যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে উভয় পক্ষকে ডেকে কাগজ দেখে তা ঠিক করে দেব। কিন্তু তিনি আজও পর্যন্ত তা করেনি। এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকালে প্রিন্সিপাল আবু সাঈদ, হোসনেয়ারা খাতুন, আ’লীগ নেতা ও সাবেক সাংসদ মোখলেছুর রহমানের ও প্রিন্সপাল আবু সাঈদের শ্যালক শুভ হত্যা, ডাকাতি ও মাদকসহ একাধিক মামলার প্রধান আসামি পলাশপোল এলাকার মফিজ, মৃত সামছুর রহমানের ছেলে সেই আলোচিত ইউনুস আলী ওরফে চোর ইউনুস, মৃত আলী মিস্ত্রীর ছেলে নূর ইসলাম সহ ২৫/৩০জন স্থানীয় সন্ত্রাসী সেখানে গিয়ে হঠাৎ করে ভাংচুর করে সকল ঘরে বড় বড় তালা ঝুলিয়ে দেয়। এসময় বৃদ্ধা অছিকা খাতুন বাঁধা দিতে গেলে তাকে বেধড়ক মারপিট করে কপাল ফাটিয়ে দেয়। তাছাড়া তাদের কে সব সময় হত্যা গুম সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে। এব্যাপারে বৃদ্ধা অছিকা খাতুন বাদি হয়ে ও তার ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এবিষয়ে অধ্যক্ষ আবু সাঈদ বৃদ্ধাকে মারপিটের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি ওই জমি ক্রয় করেছি। তার কাগজপত্রও রয়েছে। আমি ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখল নিয়েছি মাত্র। এছাড়া কোন মারপিট বা দখলের ঘটনা ঘটেনি।