নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার দারুল উলুম চৌমুহুনী ফাজিল মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল কাদির হেলালীর পক্ষ নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে গত ১২ আগষ্ট কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন ওই মাদ্রাসার জিবি কমিটির সদস্যরা। দারুল উলুম চৌমুহুনী ফাজিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ নুরুল হকসহ নয়জন স্বাক্ষরিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে. মাওলানা আব্দুল কাদির হেলালী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের বিধিমালা বহির্ভুতভাবে সাড়ে নয় বছরে দাখিল পাশ করে ১৯৮০ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর নাবালক অবস্থায় গান্দুলিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপারইনটেনডেন্ট পদে যোগদান করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধিতে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের জন্য যে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার কথা বলা আছে তা লঙ্ঘন করে তিনি দারুল উলুম চৌমুহুনী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। সূত্রটি আরো জানায়, আব্দুল কাদির হেলালী ২০১২ সালের ফতেপুর ও চাকদহের নাশকতা মামলার এজাহার ও চার্জশীটভুক্ত আসামী। ২০১৩ সালে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম আলী হত্যা মামলার এজাহার ও চার্জশীট ভুক্ত তিনি। এ ছাড়া ইউপি সদস্য শেখ ছিদ্দিকুর রহমানসহ পুলিশ বাদি হয়ে দায়ের করা প্রায় এক ডজন নাশকতার মামলার আসামী তিনি। ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে সাতটায় নাশকতার পরিকল্পানাকারি হিসেবে উপপারিদর্শক সুধাংশু শেখর হালদার তাকে মুকুন্দ মধুসুধনপুর চৌমুহুনী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠান। অথচ আব্দুল কাদির হেলালীর চাকুরিতে বহাল হওয়া সংক্রান্ত এক আবেদনের প্রেক্ষিতে হেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালকের কাছে যে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তাতে ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল মাদ্রাসায় হাজির হওয়ার আড়াই ঘণ্টার মধ্যে মাদ্রাসা থেকে হেলালীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে উল্লেখ করেছেন। যা’ আইনে র পরিপন্থি। তিনি কাদির হেলালীর দারা বিশেষ সুবিধা প্রাপ্ত হয়ে পুলিশ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছেন। এ ছাড়া সাতক্ষীরা আদালতের দেওয়ানী ৪/২০ নং মামলায় জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন দারুল উলুম চৌমুহুনী ফাজিল মাদ্রাসায় হাজির না হয়ে হেলালীর দারা প্রভাবিত হয়ে মনগড়া প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছেন। ফলে আদালতে এ ধরণের অসত্য প্রতিবেদন দাখিলের ফলে ভেঙে পড়তে পারে ওই মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা। আবেদনকারিরা অবিলম্বে তদন্ত সাপেক্ষে জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন কারো দারা প্রভাবিত হয়ে প্রতিবেদন দাখিলের কথা অস্বীকার করে বলেন,তিনি সব কিছুই তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।