আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান নাইচের বিরুদ্ধে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার খবর শুনে ধর্ষক সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা ওই স্কুল ছাত্রীর বিরুদ্ধে বুধবার (১৯আগষ্ট) সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপর মামলার বিষয়টি জানাজানি হয়। এর আগে গত ১৮ আগষ্ট কলারোয়া থানায় ওই স্কুল ছাত্রী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ছাত্রলীগ নেতা শেখ মেহেদী হাসান নাইচ (২৭) উপজেলার পরানপুর গ্রামের শেখ মোশারফ হোসেনের ছেলে। ওই স্কুল ছাত্রী (এস.এস.সি পরীক্ষার্থী) জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রলীগ নেতা শেখ মেহেদী হাসান নাইচ তাকে চার বছর ধরে ধর্ষন করে আসছেন। পরিবারের চাপে মোটা অংকের যৌতুক নিয়ে সে অন্যাত্র বিয়ে করেন। উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের ওই স্কুল ছাত্রী আরো জানান, গত ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে তার মা বাবা বাড়িতে না থাকায় বিয়ের প্রলোভব দেখিয়ে নাইচ তাকে প্রথম ধর্ষন করেন। এভাবে চার বছর চলতে থাকায় সর্বশেষ গত ৩ জুলাই রাতে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে নাইচ জোরপূর্বক ধর্ষন করে চলে যাওয়ার সময় অসদাচরণ করেন। এসময় তিনি প্রতারণার শিকার হতে যাচ্ছেন বলে সন্দেহ করেন। পরে পরিবারের সবাইকে জানিয়ে তিনি কয়েক দফা ছাত্রলীগ নেতা নাইচদের বাড়িতে যান। নাইচসহ তার পরিবারের লোকজন তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেন। বিষয়টি কলারোয়া উপজেলা উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান দুই পক্ষকে ডাকার পরও বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে গত ১৮ আগষ্ট তিনি বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে, মামলার খবর জানতে পেরে বুধবার (১৯ আগষ্ট) সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাইচ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাকে চরিত্রহীন মেয়ে বলে উল্লেখ করেন। এসময় নাইচ বলেন ওই চরিত্রহীন মেয়ে তার রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুন্নকরার জন্য চক্রান্ত করে আসছেন। এ ব্যাপারে জানার জন্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান নাইচকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার মায়ের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, মেয়েটি তার বাড়িতে দুই দফা বিয়ের দাবি নিয়ে এসেছিল। তিনি গুরুত্ব দেননি। কলারোয়া উপজেলা চেয়াম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে বসাবসি করার পর তারা দুই পরিবারের লোকজন ১৫ দিনের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন বলে তার কাছ থেকে সময় নেন। কিন্তু বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় মেয়েটি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিকে আটকের জন্য পুলিশ কাজ করছে।##
২০.০৮.২০