কলারোয়া প্রতিনিধি : পরকীয়ার জেরে ভাগনে রিপন মোড়লের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে মামীর অনশনের খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে তালা ও কলারোয়া দুই উপজেলার মধ্যবর্তী কাটাখালি গ্রামে। ২১ জুলাই রাতে স্বামী গফুর মল্লিক (৪৫)কে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরকীয়া প্রেমিক ভাগ্নে রিপনের সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়। ঘটনাটি আচ করতে পেরে স্ত্রীর দেওয়া ওষুধ না খেয়ে মুখের মধ্যে জ্বিব্বার তলায় রেখে ঘুমের ভ্যান ঘরে শুয়ে ছিলেন। ভুক্তভোগী স্বামী গফুর মল্লিক বলেন, আমি দীর্ঘ ৪ বছর জীবিকার তাগিতে মালয়েশিয়া থেকে বছর দেড়েক আগে বাড়ি ফিরে আসি। বিদেশ থাকাকালীন সময়ে জানতে পারি আমার স্ত্রী চম্পা বেগম (৩২) আমার চাচাতো ভাগ্নে মিজানুর মোড়লের ছেলে রিপন মোড়লের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি একাধিকবার ঘরোয়া ভাবে শালিসের মাধ্যমে মিমাংশা করা হলেও তাদেরকে বিভক্ত করা যায়নি। আমার স্ত্রী আমার বিভিন্ন সময়ে আমার ঘরে থাকা সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা ও আড়াই ভরি গহনা অতিগোপনে আত্মসাৎ করেছে বলে জানান। গফুর মল্লিকের ভাইর বউ রহিমা বেগম ও সুফিয়া খাতুন বলেন, বিগত ৪ বছর যাবত আমরা তাদের পরকীয়ার ঘটনা জানতে পেরে তাদেরকে একাধিকবার সাবধান করেছি কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। এমনকি এ ব্যপারে রিপন মোড়লের পরিবারের সদস্যদের কাছে জানালে রহিমা বেগম মারধোরের স্বীকার হন।
এবিষয়ে গফুর মল্লকের প্রথম স্ত্রীর কন্যা অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী আখি বলেন, আমার (বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী) মা কয়েক বছর যাবত অনৈতিক কর্মকান্ড করে আসছে। বাবা বিদেশ থেকে ফেরার পর পরকীয়া প্রেমিকের সাথে মেলামেশা করার দিন আব্বুকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় দেয় যেন তাদের কোন সমস্যা না হয়। গত রাতেও আব্বুকে ঘুমের ওষুধ দিয়েছিল কিন্তু আব্বু বুঝতে পেরে না খেয়ে খাওয়ার অভিনয় করে। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে আমার আব্বু তাদের হাতেনাতে আটক করলে রিপন মোড়ল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। রাতে বিষয়টি জানা জানি হলে সকালে আমার মা তার প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে যায়। তারপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন। তবে রিপন মোড়ল গা-ঢাকা দিয়ে আছে বলে জানায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকরা রিপন মল্লিকের বাড়িতে গেলে পরকীয়া প্রেমিকে রিপনের বাড়ির লোক গেটে তালা মেরে পালিয়ে যায়। এসময় সাংবাদিক দেখে এলাকার উৎসুক জনতা ওই বাড়ির গেটের সামনে ভিড় জমাতে থাকে। এব্যপারে রিপনের পরিবারের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা সাংবাদিক দেখে ঘরের বারান্দা ও বাড়ির সীমানা পাচিলের গেট তালাবদ্ধ করে দেয়। বার বার চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ কোন বক্তব্য দেবেন না বলে জানিয়ে দেন।
এঘটনায় বাদী হয়ে গফুর মল্লিক রিপন মোড়ল, মিজানুর মোড়ল, চম্পা বেগম ও আব্দুল মান্নান মল্লিককে আসামী করে পাটকেলঘাটা থানায় একটি অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) জেল্লাল হোসেন। এঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।