খুলনা

শিবির ক্যাডার থেকে ব্যাংক ম্যানেজার:গোপনে ঠিকাদারী শতকোটি টাকার মালিক!

By daily satkhira

August 23, 2020

খুলনা প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার মোঃ মোতালেব হোসেনের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিডেট এ চাকুরী হয়। সেখান থেকে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকে যোগদান করেন তিনি। বর্তমানে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক খুলনার ডুমুরিয়া শাখার এসএভিপি ও ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যাংকে চাকুরীর পাশাপাশি তিনি একজন অঘোষিত ঠিকাদার। খুলনা ও বাগেরহাটে তিনটি বাড়িসহ রয়েছে একাধিক প্লট ও জমি। সব মিলিয়ে তিনি শতকোটি টাকার মালিক বলে জানা গেছে। এছাড়াও তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন বলেও জানা গেছে। ঠিকাদারী ব্যবসায়ী পার্টনার ও মোটা অংকের ঋন পার্টনার সমন্বয়ে খুলনায় তার একটি বড় গ্যাং রয়েছে। যারা বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক ম্যানেজার মোঃ মোতালেব হোসেন’র অনিয়ম ও দুর্নীতিকে আড়াল রাখতে সহায়তা করেন। অনুন্ধানে জানা গেছে, বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার পুর্ব সরালিয়ার এলাকার মৃত আব্দুর রব হাওলাদারের ছেলে মোতালেব হোসেন। এলাকায় লেখাপড়াকালীন মাধ্যমিক জীবন থেকেই তিনি ছিলেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মি। এরপর তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। সেখানে তিনি ছাত্রলীগের সাথে শিবিরের সম্মুখ সংর্ঘষের প্রথম সারির শিবির ক্যাডার ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে এবিষয়ে ব্যাংক ম্যানেজার মোতালেব হোসেনের দাবি, তিনি কোন পদে ছিলেন না। শুধুমাত্র শিবিরের নেতাকর্মিদের সাথে তার চলাফেরা ছিলো। এছাড়া তিনি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন অনেক ছাত্রলীগকর্মিকে হামলার মাধ্যমে গুরুত্বর আহত করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এবিষয়ে তিনি বলেন, আমি অনেকবার হামলার শিকার হয়েছি। আমার শরীরের ধারালো অস্ত্রের অনেক আঘাত রয়েছে। এরপর ১৯৯৬ সালে ইসলামী বাংক বাংলাদেশ লিঃ’র প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০০৯ সালে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকে যোগদান করে বর্তমানে চাকুরীতে রয়েছেন। মোঃ মোতালেব হোসেন ব্যাংকের ওই শাখায় বসে তিনি এমন কোন অনিয়ম নেই যে করেন নি। গ্রাহকদের মোটা অংকের ঋন দিয়ে তাদের সাথে ব্যবসায়ীক পার্টনার হন তিনি। এছাড়া ব্যাংকে চাকুরীর আড়ালে নিজের ঠিকাদারী ব্যবসার কোটি কোটি টাকা লেন দেন করেন গ্রাহকদের একাউন্টে। তার এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে টের পেয়ে অনেক গ্রাহক তাদের একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। অনুসন্ধানে এধরনের চিত্রই ফুটে উঠেছে। দুর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে বাগেরহাটের সোনাতলা মোড় এলাকায়, খুলনার পল্লী বিদ্যুৎভবনের সামনে তার বহুতল ভবনসহ রয়েছে একাধিক প্লট ও জমি। ব্যাংক ম্যানেজার মোতালব হোসেন’র একাধিক বিয়ের বিষ‌য়ে তার বড় স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেছেন, আমার অনুমতি নিয়ে সুমাইয়া আক্তার নামের আরও এক নারীকে বিয়ে করেছে আমার স্বামী, এছাড়া অন্য আর কোন বিয়ে আছে কিনা তা জানিনা। এবিষয়ে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক খুলনার ডুমুরিয়া শাখার এসএভিপি ও ম্যানেজার অভিযুক্ত মোঃ মোতালেব হোসেন বলেন, আমার অর্থ সম্পদ সকল কিছুই বৈধ পন্থায় অর্জন করেছি। আমার আত্মীয় স্বজন রয়েছে তারা ঠিকাদারী করে। ব্যাংকের গ্রাহকদের একাউন্ট ব্যবহারের বিষয়টিও অস্বিকার করেন। এছাড়া শিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম কোন পদে নয়।