১৬ দফা দাবিতে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন ও জাতীয় কৃষক সমিতির সাতক্ষীরা জেলা শাখা সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ। এসময় জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি সভাপতি অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সাবীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ ময়নুল হাসান, ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন জেলা শাখার সভাপতি অজিত কুমার রাজবংশী ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন। দাবি সমূহ নি¤œরূপ: পাট শিল্প ও পাট চাষী রক্ষায় পাটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করে রাষ্ট্রীয় পাটকল চালু করতে হবে। আম্ফান ও বন্যাদূর্গতদের জন্য বিনামূল্যে ৬ মাসের খাদ্য সহায়তা প্রদান চালু করতে হবে। বন্যা কবলিত এলাকায় কৃষকের সব ধরনের কৃষিঋণ, এনজিও ঋণ মওকুফ করে জরুরীভিত্তিতে বন্যাকবলিত কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে আমন, গম, আলু, ভুট্টা, সবজি এবং ডাল জাতীয় বীজ বিনা মূল্যে সরবরাহ করতে হবে। বন্যা কবলিত অঞ্চলে গবাদি পশু সংরক্ষণে আলাদা আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, গো-খাদ্যের সংকট নিরসন, সুপেয় পানি প্রদানকরতে হবে। নদী খনন, উপকূলীয় টেকসই ভেড়ীবাঁধ নির্মাণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। খোদ কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় ও তা গুদামজাত ও বিপণন করতে প্রতি উপজেলায় প্যাডিসাইলো নির্মাণ এবং তার পরিচালনার ভার সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রোয়ার কো-অপারেটিভের (উৎপাদক সমবায়) উপর ন্যাস্ত করতে হবে। ৮-৭ এর ভূমি সংস্কার আইনের সুপারিশ অনুযায়ী বর্গাচাষীদের সাথে বর্গাচূক্তিপত্র সম্পাদন, বর্গাস্বত্ব প্রদান করা এবং সমিতিতে সংগঠিত করে কৃষি ঋণ এবং কৃষি প্রণোদনা প্রদান করতে হবে। খাস জমি, জলমহলের উপর প্রকৃত ভূমিহীন, মৎস্যজীবীদের অধিকার প্রদান করতে হবে। ৭২ সালের সংবিধানের নির্দেশনা মোতাবেক কৃষি সমবায়কে কৃষি উৎপাদনের প্রধান হাতিয়ার পরিণত করা, উৎপাদনের উপকরন সার, বীজ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সকল যন্ত্রপাতি পুুঁজিপতি শ্রেণির হাতে না দিয়ে এসব সমবায় সমিতির মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। সারা দেশের খেতমজুরদের নিবন্ধন, ৪০ দিনের কাজ বাড়িয়ে ১৫০ দিনের কাজের গ্যারান্টি, কাজ না থাকলে ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রাম ও শহরের ৬০ বছরোদ্ধ খেতমজুর, ভূমিহীন শ্রমজীবী মানুষের জন্য সার্বজনীন পেনশন ভাতা প্রদান, গ্রাম ও শহরের খেতমজুর শ্রমজীবী ও কর্মজীবী গরিব মানুষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। গ্রামের কৃষক-খেতমজুর ও গ্রামীণ শ্রমজীবীদের জন্য বিনামূল্যে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যয়ভার রাষ্ট্র কর্তৃক গ্রহণ ও তাদের সন্তানদের শিক্ষাভাতা প্রদান করতে হবে। গ্রামাঞ্চলের কৃষক-খেতমজুর গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষের সন্তানদের অনলাইন ক্লাসের জন্য ল্যাপটপ, স্মাটফোনের ব্যবস্থা ও আনুসাঙ্গিক অন্যান্য সুযোগ সুবিধা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। মজুদ বিরোধী আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত, চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সরকার কর্তৃক প্রণীত চুক্তিনামা অনুযায়ী সরকারি গুদামে চাল, গম, সরবরাহ করতে বাধ্য করে এদের খাদ্য মজুদ তদারকীর জন্য “কন্ট্রোল অব এসেনশিয়াল কমোডিটিস এ্যাস্ট” আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। হাওড়-বাওড় চরাঞ্চলসহ সমগ্র অঞ্চলে কৃষিজীবী নারীদের বিশেষ প্রণোদনা (স্বাস্থ্য, খাদ্য ও বাসস্থান) প্যাকেজের আওতায় আনতে হবে। ছোট ছোট খামার(পোল্ট্রি, ডেইরি, মৎস্য খামার, লবন চাষী, নার্সারী) সমূহকে লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে তাদের স্বল্প সুদে ঋণ ও পর্যাপ্ত প্রণোদনা দিতে হবে। গ্রামাঞ্চলে কৃষিঘণ শিল্প গড়ে তুলতেহবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি