নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা বেকার পুনর্বাসন সংস্থায় ভূয়া স্বাক্ষরে কমিটি গঠনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কমিটি গঠনে গঠনতন্ত্রের কোন নিয়মনীতি মানা হয়নি। এব্যাপারে সদর থানায় অভিযোগ করেছেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সালমা খাতুন। লিখিত অভিযোগে সালমা খাতুন জানান, সাতক্ষীরা রাজার বাগানে অবস্থিত বেকার পুনর্বাসন সংস্থাটি ২০০৯ সালের ০৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে নিবন্ধন লাভ করে। নিবন্ধন নং- সাত ১০৪৭/২০০৯। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংস্থাটির হাল ধরেন সালমা খাতুন এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করায় সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সালমা খাতুন এনজিও ব্যুরো নিবন্ধন করার জন্য সংস্থার গঠনতন্ত্র, কার্যকারী কমিটি সহ সকল কাগজপত্র তার নিকট আত্মীয় শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার আব্দুস সামাদের স্ত্রী নাজমুন নাহার ষড়যন্ত্র করে গঠনতন্ত্রের কোন নিয়মনীতি না মেনেই সালমা খাতুনকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সহ-সভাপতি পদে মনোনিত করে ২৯-০৬-২০১৫ তারিখ হতে ২৮-০৬-২০১৭ তারিখ মেয়াদে কমিটি অনুমোদন করেন। কমিটির তালিকায় সালমা খাতুন, লিয়াকত হোসেন, শাহনাজ বেগম ও লোকমান কবির এব্যাপারে কিছুই জানেনা। তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নাজমুন নাহার ভূয়া কমিটি গঠন করেছে। তারা জানান, কমিটির ভূয়া তালিকায় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে কলারোয়ার একটি এমপিওভুক্ত কলেজের প্রভাষক ফরিজুল ইসলামকে। ফরিজুল ইসলামের স্ত্রী একটি এমপিওভুক্ত হাইস্কুলের শিক্ষক। এছাড়া ভূয়া কমিটির সভাপতি নাজমুন নাহার বিভিন্ন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। নাজমুন নাহারের বোনও ভুয়া কমিটির সদস্য। এছাড়া বিবিএ কলেজের কোষাধ্যক্ষ জিএম সায়েদুর রহমানের স্ত্রী ও এ ভুয়া কমিটির সদস্য। গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী কোন সরকারি বেসরকারি শায়ত্ব শাসিত, আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন ব্যক্তি কিম্বা তাদের পরিবারের কোন সদস্য বেকার পুনর্বাসন সংস্থার কার্যকারী কমিটির সদস্য হতে পারবেন না। অথচ নাজমুন নাহার গঠনতন্ত্র না মেনে ওই সব ব্যক্তিদের স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া কমিটির গঠন করে স্বৈরশাসন জারি করেছে। এব্যাপারে কমিটির প্রকৃত সাধারণ সম্পাদক সালমা খাতুন সংস্থার কাগজপত্র চাইলে তাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দাবি করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে নাজমুন নাহার এবিষয়ে কিছু জানেন না বলে এড়িয়ে যান।