আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার উপকুলীয় এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও লঘু চাপের প্রভাবে থেমে থেমে শুরু হয়েছে ভারী বর্ষন। এর ফলে উপকুলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরের কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের পানি কিছুটা (১ফুট) বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে বেড়েছে বানভাসিদের দুর্ভোগ। নদীর পানি বৃদ্ধি ও ভারী বর্ষনের ফলে আবারও তারা উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর থেকে টানা তিন মাসের অধিক সময় ধরে পানি বন্দী থাকায় বিপন্ন হয়ে পড়েছে উপকুলীয় এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। বিশেষ করে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আশাশুনি সদর (আংশিক) এবং শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা (আংশিক) ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম এখনও প্লাবিত। দেখা দিয়েছে তাদের মানবিক বিপর্যয়। ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। ধ্বসে পড়েছে শত শত কাঁচাঘর বাড়ি। প্লাবিত অঞ্চলে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গবাদি পশু ও সাপ পোকামাকড় মারা গিয়ে পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। আর দূষণের কবলে পড়েছেন পানিবন্দিদের পরিবেশ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। ইতিমধ্যে সরকারি ত্রাণ সহায়তা কেউ কেউ পেয়েছেন। আর যারা পাননি তারা যাতে পান সে জন্য অবেদন জানিয়েছেন। যদিও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২৯৫ মেট্রিকটন চাউল ও ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই সাথে সেনাবাহিনী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বাঁধ মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, লঘুচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষন শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে তিনি আরো জানান।