জাতীয়

মাস্ক পরেন না দেশের ৪৮ শতাংশ মানুষ

By Daily Satkhira

August 28, 2020

অনলাইন ডেস্ক : মহামারী পরিস্থিতিতেও সচেতন নন নাগরিকরা। দেশের ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ লোক করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কীভাবে প্রতিরোধ করতে হয়, তা জানেন। এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে আবার ৫২ শতাংশের কিছু বেশি লোক মাস্ক ব্যবহার করেন। বাকিরা মাস্ক পরেন না।

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল পড়ুয়াদের মধ্যে করোনাভাইরাস সম্পর্কে জ্ঞান বা সচেতনতার ব্যাপ্তি, মনোভাব এবং এর প্রয়োগ নিরূপণের লক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা যৌথভাবে ৩টি গবেষণা করে। সেই গবেষণার ফল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

দেশে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে ৮ মার্চ। আর প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। আর এই গবেষণা এ বছরের মার্চ থেকে আগস্টের মধ্যে পরিচালনা করা হয়। এতে অংশ নেন ১ হাজার ৫৪৯ জন। তাদর মধ্যে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে কর্মরত ৬০৪ জন এবং ৩৯৯ জন শিক্ষার্থী।

জনসাধারণের মধ্যে পরিচালিত গবেষণাটি ঢাকা মহানগর ও দেশের উত্তরাঞ্চলের দুটি গ্রামীণ জনপদে পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে ৬৯ দশমিক ৮ ভাগ লোক করোনাভাইরাস কীভাবে ছড়ায়, সে সম্পর্কে জানেন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি ৭০ ভাগ উত্তরদাতা সঠিকভাবে জানেন। এ ছাড়া মাস্ক ব্যবহার এবং হাত ধোয়ার বিষয়ে যথাক্রমে ৭৮ দশমিক ৪ ভাগ এবং ৮৭ দশমিক ৬ ভাগ ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ কীভাবে প্রতিরোধ করতে হয়, সে বিষয়ে শতকরা ৫১ দশমিক ৬ ভাগ লোক জানেন।

এই উত্তরদাতাদের মধ্যে ৫২ দশমিক ১ ভাগ মাস্ক ব্যবহার করেন। জনসাধারণের মধ্যে করোনাভাইরাসকে মরণব্যাধি মনে করেন ৭৪ শতাংশ।

রাজধানীর বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সহযোগী কর্মীদের ওপর পরিচালিত গবেষণায় ৭৫ শতাংশ করোনা ছড়ানো ও প্রতিরোধ বিষয়ে জানেন এবং ৭৬ শতাংশ ব্যক্তিপর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি চর্চা করেন। এর মধ্যে ৭৭ শতাংশ লোক মনে করেন, করোনা পরিস্থিতি সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরের শিক্ষার্থীদের ওপর পরিচালিত তৃতীয় গবেষণায় উঠে এসেছে, ৭১ দশমিক ৬৮ শতাংশের করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৩২ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা বাড়িতে বা বাইরে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই আড্ডা দেন। ১৬ শতাংশ রেস্টুরেন্ট বা খাবারের দোকানে যান।