আসাদুজ্জামান : নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভ করেও সাতক্ষীরার কলারোয়া বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পাচ্ছেন না আবদুল ওহাব। গত ছয় মাস ধরে তাকে নিয়োগ না দিয়ে বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এমন অভযোগ এনে সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলেজের পরিচালনা পরিষদ সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা এমএ ফারুক। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বাধাগস্ত করতে আবদুল ওহাবের বিরুদ্ধে বিএনপির রাজনীতির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে একটি নাশকতার মামলা দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ এনে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যয়নপত্র পাঠিয়ে এই নিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করেছেন বলে অভিযোগ আনেন। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা ১ আসনের সংসদ সদস্য ডিও দেয়ার কথা স্বীকার করে জানান, আব্দুল ওহাবের ডিগ্রি কলেজে শিক্ষাকতার ১২ বছরের অভিজ্ঞতা না থাকায় এই ডিও দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিএনপি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ আনেন বলে এমপি আরো জানান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কলারোয়া বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নজিবুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করায় তার স্থলে অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এ ব্যাপারে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত পাঁচ সদস্যের নিয়োগ বোর্ডের হয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা মহাপরিচালক যথাক্রমে অধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমান ও অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, পরিচালনা পরিষদ সভাপতি এএম ফারুক, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অসীম কুমার ও শিক্ষক প্রতিনিধি নিলুফার ইয়াসমিন। তিনি বলেন, নিয়োগ বোর্ডের লিখিত পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকারে প্রথম হন আবদুল ওহাব। এ ছাড়া দ্বিতীয় হন মো. মাহবুবুর রহমান ও যৌথভাবে তৃতীয় হন আবদুর রহিম ও বখতিয়ার রহমান। নিয়োগ বোর্ডের এই ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে কলেজ পরিচালনা পরিষদ এতে অনুমোদন দিয়ে নিয়ম অনুযায়ী যথাসময়ে কাগজপত্র পাঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, নিয়োগ বিষয়ক চূড়ান্ত কাগজপত্র তৈরির মূহুর্তে তালা কলারোয়ার সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এক চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন আবদুল ওহাব স্থানীয় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। তাকে নিয়োগ দিলে এলাকায় উত্তজনা বৃদ্ধি পাবে। তিনি এই নিয়োগ বন্ধ রাখার সুপারিশ করেন। ঠিক একই সময়ে গত ৭ জানুয়ারি আবদুল ওহাবের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানার একটি নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এমএ ফারুক কলারোয়া বিএনপি ও কলারোয়া আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের লিখিত একটি প্রত্যয়নপত্র দেখিয়ে চ্যালেঞ্জ করে বলেন অধ্যক্ষ প্রার্থী আবদুল ওহাব কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সংযুক্ত নন।