নিজস্ব প্রতিনিধি : নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা আসামীর নেতৃত্বে মামলার বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা বাদী সুমাইয়া আক্তার বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করলে। কিন্তু ঘটনার ৫দিন অতিবাহিত হলেও মামলা রেকর্ড না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাদী ও তার পরিবার। ভুক্তভোগী সুমাইয়া আক্তার জানান, উত্তর পলাশপোল এলাকার কাজী বাবুর পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান জনির বিরুদ্ধে তিনি আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৯৯/১৮। উক্ত মামলায় আটক হয়ে জনি কারাগারে অন্তরীন থাকেন। কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলা তুলে নিতে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে সুমাইয়া আক্তার, তার পিতা এবং তার বড় বোন রোকসানা আক্তার দোকানে মালামাল ক্রয় করতে আসেন। সে সময় মোস্তাফিজুর রহমান জনির নেতৃত্বে তারা সহযোগীরা ভুক্তভোগী সুমাইয়া, তার পিতা আব্দুস সোবহান ও বড় বোন রোকসানা আক্তারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। সে সময় হামলাকারীরা রোকসানা কে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং সুমাইয়ার পরনের কাপড় ছিড়ে শ্লীলতা হানি ঘটনায়। এছাড়া সুমাইয়া ও তার বোনের গলায় থাকায় স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। যার আনুমানিক মূল্য ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এ সময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় এগিয়ে আসলে উল্লেখিত হামলাকারীরা চলে যাওয়ার সময় হুমকি প্রদর্শন করে বলে, মামলা তুলে না নিলে তোদের পরিবারের সকলকে খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করবো। এঘটনায় ভুক্তভোগী সদর থানায় একটি এজার দায়ের করেন। এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, উক্ত ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য পুলিশের একজন কর্মকর্তা কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি রিপোর্ট দেওয়ার পর সত্যতা পেলে মামলা রেকর্ড করা হবে।