প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে নারী ও মেয়েদের অধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে আমি সচেতন। আমি নিজের মধ্য থেকে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে তাগিদ অনুভব করি। বাংলাদেশ সরকার পর্যায়ক্রমে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে আমাদের নারী সমাজকে আরও অগ্রসর করতে বদ্ধপরিকর। সোমবার সাতক্ষীরার তুফান কনভেশন সেন্টারে (লেকভিউ) বাংলাদেশে নারী ও মেয়েদের অধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইন ’ শীর্ষক ১২দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন গত ১২ দিনে যে ১০০ জন শিক্ষক, সাংবাদিক, নারী নেত্রী, এনজিওকর্মী, ইমাম, পূরোহিত, আইনজীবী এবং অন্যান্য শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন তাদের দায়িত্ব হবে এই কর্মশালা থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা ও ধারনা সমাজের তৃণমূল পর্যায়ে পৌছে দেওয়া। তিনি বলেন তবেই এই কর্মশালার সাফল্য অর্জিত হবে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আরো বলেন আমাদের সমাজে নারী অনেক পিছিয়ে রয়েছেন স্বীকার করছি। তবে এটাও সত্য যে অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় আমরা অনেকদুর পাড়ি দিয়েছি। আশা করবো আমরা আরও অগ্রসর হবো। নারী সমাজকে আলোকিত সমাজে এনে তাদের ক্ষমতায়ন, সামাজিক , রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে আমাদেরকে একসাথে কাজ করতে হবে। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মতিতে প্রশিক্ষন কর্মশালার শেষ ব্যাচের প্রশিক্ষক বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রেখা সাহা প্রশিক্ষণ গ্রহনকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক ইত্তেফাকের যশোরস্থ স্টাফ রিপোর্টার, নিউজ নেটওয়ার্কের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল। প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রেখা সাহা। সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন নিউজ নেটওয়ার্ক সাতক্ষীরা জেলা ককাসের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সমন্বয়ক সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সহযোগিতা করেন নিউজ নেটওয়ার্ক কর্মকর্তা মুসলিমা আক্তার মৌ। সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রবীণ সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী,উন্নয়নকর্মী শম্পা গোম্বামী প্রমুখ। সাতক্ষীরায় গত ১০ সেপ্টম্বর তুফান কনভেনশন সেন্টারে ( লেকভিউ) শুরু হয় ১২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা। কর্মশালাটি পৃথক ৪টি ব্যাচে ভাগ করা হয়েছে। ৩দিন ব্যাপী প্রতিটি ব্যাচে ২৫ জন করে (১২দিনে, সর্বমোট ১০০ জন) প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করবেন। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ছিলেন স্থানীয়-আঞ্চলিক-জাতীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনের সাংবাদিক, শিক্ষক, উন্নয়নকর্মী, ইমাম, পুরোহিত, সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মী।