অনলাইন ডেস্ক : জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য খাতের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ২০ জনের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরে এসব সম্পদের বিবরণী ইস্যু করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে সম্পদের বিবরণী ইস্যু করা হয়েছে এদের মধ্যে রয়েছেন- মো. মজিবুল হক মুন্সি, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা স্বাস্থ্য অধিদফতর; রিফাত আক্তার, স্বামী- মো. মজিবুল হক মুন্সি; তোফায়েল আহমেদ ভূইয়া, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, স্বাস্থ্য অধিদফতর; খাদিজা আক্তার, স্বামী- তোফায়েল আহমেদ ভূইয়া; মো. আব্দুল মালেক, গাড়িচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতর; নার্গিস বেগম, স্বামী- মো. আব্দুল মালেক; মো. ওবাইদুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ; বিলকিচ রহমান, স্বামী- মো. ওবাইদুর রহমান; মোসা. রেহেনা আক্তার, স্টাফ নার্স, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ; স্বামী- মো. ওবাইদুর রহমান; মো. ইমদাদুল হক, হিসাব রক্ষক, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল; মোছা. উম্মে রুমান ফেন্সী, স্বামী- মো. ইমদাদুল হক; মো. মাহমুদুজ্জামান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব), জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল; মোছা. সাবিনা ইয়াছমিন, স্বামী- মো. মাহমুদুজ্জামান।
মো. নাজিম উদ্দিন, স্টোর অফিসার, শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গাজীপুর; ফিরোজা বেগম, স্বামী- মো. নাজিম উদ্দিন; কামরুল হাসান, অফিস সহকারী, হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ, স্বাস্থ্য অধিদফতর; ডা. উম্মে হাবিবা, স্বামী- কামরুল হাসান; মো. সাইফুল ইসলাম, স্টেনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ, গোপালগঞ্জ; মীর রায়হান আলী, সাবেক সহকারী প্রধান (নন মেডিকেল) বর্তমানে সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয়, বরিশাল এবং মো. আনোয়ার হোসেন, হিসাব রক্ষক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত এসব নোটিশে বলা হয়েছে, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ধারা ২৬ এর উপ-ধারায় (১) অর্পিত ক্ষমতাবলে তাদের নিজের এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী এই আদেশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হলো। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনের ২৬ (২) উপধারায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’