আজকের সেরা

অস্ত্র মামলায় সাহেদ করিমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

By Daily Satkhira

September 28, 2020

অনলাইন ডেস্ক : রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে গুলি রাখার অপরাধে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে সাহেদকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলায় ১৪ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারাগার থেকে আদালতে আনার সময় সাহেদের হাতে হাতকড়া ও মাথায় হেলমেট দেখা যায়।

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন আদালত।গত ১৫ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। চার কার্যদিবসে মামলাটিতে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

গত ৩০ জুলাই ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রে আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. শায়রুল ইসলাম এই চার্জশিট দাখিল করেন। গত ২৭ আগস্ট সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এরপর গত ১৯ জুলাই সাহেদকে নিয়ে গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। অভিযানে সাহেদের ব্যক্তিগত একটি গাড়ি, একটি অবৈধ অস্ত্র ও ১৫ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। সে ঘটনায় সাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে পুলিশ।

মামলার পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাহেদকে হাজির করা হলে বিভিন্ন মেয়াদে তাকে রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া সাতক্ষীরায় অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় দুটি মামলা করা হয়।

গত ২৭ আগস্ট এ মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর মামলার নথি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে। সে মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে গত ৯ সেপ্টেম্বর দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছে র‍্যাব।

এছাড়া সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি প্রায় সাড়ে চার হাজার করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে। একজন কম্পিউটার অপারেটর বসে বসে সাড়ে চার হাজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। মনগড়া পজিটিভ-নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়েছেন। এসব ঘটনায়ও পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলা রয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে।