নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের ২০নং কুঁন্দুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন কল্পে অভিভাবক সদস্য নির্বাচন কেন্দ্রিক অভিভাবকদের দু’গ্ৰুপের গ্ৰুপিং এর কারনে প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে এলাকার অভিভাবক ও সচেতন মহল। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এ্যাডহক কমিটির বিকল্প স্থায়ী কোনো সমাধান দেখছেনা এলাকাবাসী। জানাগেছে, গত ২০জুন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বিপ্লব কুমার সরদার, অসিত মন্ডল, কাকলি রানী মন্ডল, শিউলি খাতুন ও নিমাই সাধু অভিভাবক সদস্য পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন এবং জামা দেন। ২৬ জুন নির্ধারিত সময়ের পরে মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দেন ভারতী বিশ্বাস। বৈধ ৫টি আবেদনের মধ্যে নিমাই সাধু তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিপ্লব কুমার সরদার, অসিত মন্ডল, কাকলি রানী মন্ডল, শিউলি খাতুনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়। এরপর থেকে শুরূ হয় প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবকদের গ্ৰুপিং। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ৪জন অভিভাবক সদস্যদের বহাল রাখা এবং বাতিলের দাবিতে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পেরিপ্রেক্ষিতে ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে কুঁন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তদন্তে আসেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু সেলিম ও আব্দুর রকিব। উপস্থিত কয়েক জন অভিভাবকদের সাথে আলাপ-আলোচনা শেষে বিগত তফসিল বাতিল না করেই দূর্গা পূজার পরে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করা হবে সিদ্ধান্ত দিয়ে যান। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগের তদন্তে এসে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদ্বয়ের এহেন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করায় উপস্থিত সচেতন মহল ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক ও সচেতন মহলের ব্যক্তিবর্গ প্রতিবেদককে জানান, আমাদের প্রত্যাশা ছিল প্রশাসনিক কর্মকর্তা অথবা শিক্ষানুরাগী জনপ্রতিনিধিরা এসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ভূমিকা রাখবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখছি তার সম্পূর্ণ উল্টো। যেই আসছে এখানে সেই একটি পক্ষকে সমর্থন করে এই গ্রুপিংকে আরও বেগবান করতে সহযোগিতা করছে। পুনরায় তফসিল ঘোষণা করা হলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ অথবা যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে। অভিভাবক সদস্য নির্বাচন কেন্দ্রিক কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার আগে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মহল।