নিজস্ব প্রতিবেদক : তিনি ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, তিনি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, তিনিই আবার হিসাবরক্ষণ অফিসের প্রাক্তন কেরাণি!!!! এই তিনি গতকাল ধরা পড়েছেন। এই প্রতারককে খুলনা মেডেকেল কলেজ ও হাসপাতালের বড় চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে প্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভূয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নাম মনোয়ার হোসেন সরদার। তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও বিশিষ্ট ক্যান্সার সার্জারি ডা. মনোয়ার হোসেনের নাম ব্যবহার করতেন। মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ময়নুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে শহরের পলাশপোলস্থ কপোতাক্ষ ক্লিনিকে তার চেম্বার থেকে আটক করে। সূত্র জানায়, যশোর জেলায় বাড়ি হিসাবরক্ষণ অফিসের প্রাক্তন কর্মচারী মনোয়ার হোসেন সরদার কতিপয় ক্লিনিকের ছত্রছায়ায় ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ কখন সার্জারী, কখনও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলে পরিচয় দিতো। শহরের ভ্যান দালালাদের মাধ্যমে সদর হাসাপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে রোগি ভূয়া নাম ব্যবহার করে ভাগিয়ে আনতো। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি জানতে পেরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ময়নুল ইসলামের নেতৃত্বে কপোতাক্ষ ক্লিনিক সংলগ্ন তার চেম্বারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভুয়া ভিজিটিং কার্ড জব্দ করা হয়। তিনি তার প্যাডে খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নাম ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রকার কথিত ডিগ্রি ব্যবহার করে রোগীদের সাথে প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
অভিযানে এ সব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ময়নুল ইসলাম তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আশিকুজ্জামান ও ডা. মো. আরিফুজ্জামান। তবে জরিমানার অর্থ পরিশোধ ও ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না মর্মে মুচলেকা দেওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায়।