সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি এড. আব্দুল লতিফের অনিয়ম ও দূর্ণীতির প্রতিবাদে সমাবেশ

By daily satkhira

October 04, 2020

নিজস্ব প্রতিনিধি : জামিন করানোর নামে বিচারপ্রার্থীদের কাছ থেকে ইচ্ছা মত ঘুষ গ্রহণ, চাকুরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, দূর্ণীতির প্রতিবাদকারিদের চরিত্র হননসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে রোববার সকাল ১০টায় জজকোর্টের সামনে শহীদ মিনারের পাদদেশে দ্বিতীয় বারের মত এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং সাবেক অতিরিক্ত পিপি এড. আজহার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক পিপি অ্যাড. ওসমান গণি, এড. শেখ মোহাম্মদ ফারুক, এড. জেড আই আব্দুল্লাহ আল মামুন, এড. রফিকুল ইসলাম, এড. আবু রায়হান , এড. সাহেদুজ্জামান সাহেদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, হত্যা মামলার আসামীদের খালাস করিয়ে দেওয়ার নাম করে তৎকালিন জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক শরিফউদ্দিন আজাদের নামে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেন তৎকালিন অতিরিক্ত পিপি ও বর্তমান পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ ওরফে খাটাল লতিফ ওরফে গো লতিফ। কাজ না করতে পেরেও টাকা ফেরৎ না দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সাতক্ষীরা জজ কোর্টের এক আইনজীবীর মেয়েকে চাকুরি দেওয়ার নাম করে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েও ফেরৎ দেননি আব্দুল লতিফ। অতিরিক্ত পিপি, সহকারি পিপি করিয়ে দেওয়ার নাম করে ১৫জন আইনজীবীর কাছ থেকে মাথা পিছু ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা নিয়ে টালবাহনা করেও এখন টাকা নেননি পারলে কিছু করে নিয় বলে তাদেরকে হেঁকে দিয়েছেন। নিজ গ্রামের দক্ষিণ কামারবায়নাসহ নয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী নিয়োগের নাম করে মাথা পিছু চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়েও এখনো তাদের চাকুরি হয়নি। ফেরৎ দেননি তাদের টাকা। ঝাউডাঙা ডিগ্রী কলেজকে জাতীয়করণের নামে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সাংসদ মুক্তিযোদ্বা মোস্তাক আহম্মেদ রবিকে দেওয়ার কথা বলে প্রতি শিক্ষকের কাছ থেকে মাথাপিছু এক লাখ টাকা, এমপিও ভুক্তির নামে সর্বশেষ নিয়োগপ্রাপ্ত ৫৪ জন প্রভাষক ও কর্মচারির কাছ থেকে তিন থেকে ১২ লাখ টাকা তার ছেলে রাসেল ও অধ্যক্ষ খলিলুর রহমানের মাধ্যমে এক বছর আগে মোট দু’ কোটিরও বেশি টাকা তুলেছেন খাটাল লতিফ। তাছাড়া বেশ কয়েকজন নারীর সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে তাদের কাছে প্রমান রয়েছে বলে জানান বক্তারা। বক্তারা আরো বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর তারা একই স্থানে যে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করতে যেয়ে অ্যাড, আজাহার হোসেন, অ্যাড, ওসমান গণি ও সায়েদুজ্জামানের নামে বিভিন্ন আপত্তিকর, বিভ্রান্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ কথা উপস্থাপন করেছেন খাটাল লতিফ ও তার সহযোগীরা। ২৭ সেপ্টেম্বর প্রতিবাদ সমাবেশে তারা কোন সাংসদের বিরুদ্ধে একটি কথাও উল্লেখ করেননি দাবি করে বলেন, নিজেদের চামড়া বাঁচাতে সাতক্ষীরার তিনজন সাংসদকে ব্লাক মেইল করেছেন লতিফ। গত বছরের ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর দক্ষিণ কামার বায়সা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি থেকে দু’টি মেহগনি গাছ, ২০ মে আম্ফানের ঝড়ে পড়ে যাওয়া ওই স্কুলের একটি বকুল গাছ কেটে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন লতিফ ও তার ছেলে রাসেল। আরো দু’টি গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করলে প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তার বাধার মুখে পেরে ওঠেননি বাবা ও ছেলে। সবশেষে তারা লতিফের দূর্ণীতির তদন্ত করার দাবি জানিয়ে আগামিতে লতিফের অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রি বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে বলে ঘোষণা দেন। অনিয়ম ও দূর্ণীতির প্রতিবাদে সমাবেশের বিরুদ্ধে একই স্থানে গত ২৮ সেপ্টেম্বর অ্যাড. আব্দুল লতিফ বলেন, রোববার এ্যাড. আজাহার হোসেন, অ্যাড ওসমান গণিসহ ৫/৬ জন ব্যক্তি আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য একের পর এক মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। আমি দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছি। ইতিমধ্যে ১৩৬ টি গুরুত্বপূর্ন মামলার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যারা নিজেদের দূর্ণীতি ঢাকতে আমার চরিত্রহনন করছে তাদের রেকর্ড প্রকাশ করা হবে। #