অনলাইন ডেস্ক : নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৫ অক্টোবর) সকালে, বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
এ সময় হাইকোর্ট প্রশ্ন করেন, এক মাস এই ঘটনা চাপা থাকলো কি করে, পুলিশ কি করছে। ফেসবুকে না ছড়ালে তো ঘটনা গোপনই থাকতো।
এঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা এবং দেলোয়ারকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার (৪ অক্টোবর) রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে রোববার নোয়াখালী থেকে আরো দুই আসামি জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের আবদুর রহিম ও রহমতউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এ মামলার ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২ সেপ্টেম্বর স্বামীকে পাশের ঘরে বেঁধে রেখে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে স্থানীয় বখাটে বাদল, দেলোয়ার, কালাম ও তার সহযোগীরা। বাধা দিলে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করে। ঘটনার পর থেকে নির্যাতিতা গৃহবধূর পুরো পরিবারকে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করে অভিযুক্তরা।
ঘটনার ৩২ দিন পর গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা ভাইরাল হয়। এতে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। পরে, বাড়ি ছাড়া গৃহবধূকে তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার প্রায় এক মাস পর রোববার রাতে মামলা করেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ।