কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : কালিগঞ্জে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগবাটাকে কেন্দ্র করে ঘরবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শীতলপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ কোন আহত হয়নি বলে জানা গেছে। লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কালিগঞ্জের শীতলপুর গ্রামের মৃত নেছারউদ্দীন গাজীর ছেলে কওছার আলী ও আবুল কাশেমের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। একপর্যায়ে ছোট ভাই আবুল কাশেম বাদী হয়ে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদে অভিযোগ করে। সব জায়গায় ব্যর্থ হয়ে ধুরন্ধর আবুল কাশেম থানায় অভিযোগ দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে থানার উপ-পরিদর্শক চিত্ময় মন্ডল উপস্হিতিতে জরিপকারক সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে মাপজরিপ করে আংশিক চিহ্নিত করেন। সময় সংকুলানের কারণে পরবর্তী দিন বুধবার ধার্য্য করেন। কিন্তু নির্ধারিত দিন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে মাপজরিপ করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সকালে আবুল কাশেমের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া হাড়দ্দাহ গ্রামের মোনতেজ গাজীর ছেলে শহিদুল গাজী, মৃত নিজামউদ্দিন মোল্লার ছেলে শহিদুল মোল্লা ওরফে টাক শহিদুলসহ কয়েকজন সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসীরা বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক সিমানা হরণ, বসতঘরের ছাঁদ ও রান্নাঘরের খোলা দিয়ে ছাউনি ভাঙচুর করতে থাকে। এসময় কওছার আলী বাধা দেয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। স্হানীয় এলাকার আহাদ আলী, আব্দুস সবুরসহ কয়েকজন জানান, প্রায় ২০ বছর আগে যৌথ পরিবারে থাকাকালীন আবুল কাশেম পরিবার পরিজন নিয়ে কালিগঞ্জের ফুলতলা মোড় এলাকায় বসবাস করে। তাদের পৈত্রিক ভিটাবাড়িসহ সকল সম্পত্তি প্রায় ২ বছর আগে ভাগাভাগি হয়ে গেছে। এবিষটি নিয়ে কওছার আলী বলেন, সম্পত্তি ভাগাভাগির সময় ছোট ভাইকে ৫৯ শতক জমি, নগদ ১লাখ ২০ হাজার এবং ৪ লাখ টাকা বকেয়া ঋন নিজেই পরিশোধ করেছি। পৈত্রিক ভিটা বাড়ি সমজোতার মাধ্যমে ছোট ভাই নিজেই বিলান জমি নিয়ে ভোগদখল করে আসছে। কিন্তুু কয়েক মাস আগে আবার নতুন করে সে পৈত্রিক ভিটাবাড়ি দাবি করতে থাকে। আবার একই দাগে সে যেখানে জমি ক্রয় করেছে সেখানে দখল না নিয়ে অন্য স্থান দখল চাইতে থাকে। সে থানায় অভিযোগ করে নিজেই আইন ভঙ্গ করছে। সে জোরপূর্বক দীর্ঘদিনের বসবাসকরা ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে আবুল কাশেম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে থানার এসআই চিত্ময় মন্ডল দায়িত্বে আছেন। এজন্য তার কথামতো আজ আমি ঘরবাড়ি জায়গা দখল করতে এসেছি। থানার এসআই চিত্ময় মন্ডলের নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের ভাই ভাইয়ের জায়গা জমির বিষয়টি এখন নিষ্পত্তি হয়নি, মিমাংসার চেষ্টা করছি। তবে যে যে অবস্থানে আছে সেই অবস্থানে তাদের থাকতে বলা হয়েছে। আমি আজ নতুন করে কাউকে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করতে বলেনি।