সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় ধানক্ষেত থেকে স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার

By daily satkhira

October 09, 2020

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা বাড়ি থেকে বের হওয়ার ১৬ ঘণ্টা পর একটি ধানক্ষেত থেকে পুলিশ তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ঝিটকা গ্রামের নূর মোহাম্মদের মালিকানাধীন ধান ক্ষেত থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বজনদের অভিযোগ তাকে হত্যা করে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে রাখা হয়েছে। নিহতের নাম হৃদয় মণ্ডল (৯)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝিটকি গ্রামের বিকাশ মণ্ডলের ছেলে ও ঝিটকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। বিকাশ মণ্ডল জানান, তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রী অঞ্জনা মণ্ডল আড়াই মাস আগে দেবহাটা উপজেলার গাজীরহাটে যায়। এক মাস পর তার পুত্র সন্তান হওয়ায় বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছে। বড় ছেলে হৃদয় পার্শ্ববর্তী শিক্ষক প্রসেনজিৎ মণ্ডলের কাছে প্রাইভেট পড়ে চারটার দিকে বাড়ি ফেরে। এরপর কয়েকটি পেরেক কেনার জন্য সে একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের বাড়িতে যায়। ইসমাইলের ছেলে ঝিটকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মাসুদের কাছ থেকে কয়েকটি পেরেক কিনে সে আর বাড়ি ফেরেনি। সন্ধ্যায় প্রসেনজিতের কাছে আবারো পড়তে যাওয়ার কথা থাকলেও সেখানে যায়নি হৃদয়। একপর্যায়ে সম্ভাব্য সকল স্থানে রাতভর খোঁজাখুজি করা হয়। স্থানীয় সৎসঙ্গ মন্দির ও ঝিটকি মসজিদ থেকে করা হয় মাইকিং। ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী মাফিয়া শামুক তুলতে যেয়ে ধান ক্ষেতে ভাসমান অবস্থায় হৃদয়ের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের খবর দেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে তিনি ছেলের লাশের সন্ধান পান। ঝিটকি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী মাফিয়া খাতুৃন বলেন, প্রতিদিনের ন্যয় তিনি শুক্রবার সকালে হাঁসের জন্য শামুক তুলতে বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে যান। এ সময় হৃদয়কে ধান ক্ষেতের উপর পানিতে ভাসমান অবস্থায় মরে থাকতে দেখে স্থানীয়দের খবর দেন। ইসমাইলের ছেলে মাসুদ হোসেন জানান, তার কাছ থেকে কয়েকটি পেরেক কিনে হৃদয় কোথায় গিয়েছিল সেটা সে জানে না। ঝিটকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাম্মদ মাছুরা খানম জানান, করোনার কারণে স্কুল না হলেও হৃদয় ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতো। শিবপুর ইউপি সদস্য মহাদেব সরকার জানান, ধারণা করা হচ্ছে ওই স্কুল ছাত্রকে হত্যার পর লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহ্ উদ্দিন জানান, তিনি ঘটনাস্থলে এসেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে একই মুহুর্তে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী মাফিয়া খাতুন, তার দু’ ছেলে মাসুদ, আলমগীর হোসেন ও পাচরকি গ্রামের কওছার আলীর ছেলে আলমগীর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।#