নিজস্ব প্রতিনিধি : কোন স্বত্ব না থাকার পরও কৌশলে সম্পত্তি দখল ও হয়রানি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানা গেছে, সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল মৌজায় এস এ ২৯১৭ খতিয়ানের ১১২৬৮ দাগের .১৪০০ একর সম্পত্তির মালিক আব্দুল মালেক। আব্দুল মালেকের ওয়ারেশ হিসেবে স্ত্রী নেছারন ও ৫ পুত্র থাকেন। পুত্রদের মধ্যে বেল্লাল নাবালক থাকা অবস্থায় তার অংশের .০১৭৫ এবং স্ত্রী নেছারনের অংশের .০১৭৫ একর সম্পত্তি গত ১৩ অক্টোবর ১৯৭৭ সালে ৮৪৩৫ নং রেষ্ট্রি: কোবলামূলে ময়েনআলীর স্ত্রী সমেত্বভান বিবির নিকট হস্তান্তর করেন। নাবালোক বেল্লাল সরদারের অভিভাবক হিসেবে ১৩ অক্টোবর ১৯৭৭ সালে ৮৪৩৫ নং কোবলায় সমেত্বভান খরিদ করায় এবং ২৩ জুন ৯৫ এবং ২৫ জুন ৯৫ তারিখে ডিক্রির আলোকে উক্ত বেল্লাল হোসেনের স্বত্ব বিনষ্ট হয়েছে মর্মে সাতক্ষীরার জজকোর্টের প্যানেল আইনজীবী এড. তারক কুমার মিত্র, এড. গোলাম মোস্তফা ও এড. রঘুনাথ মন্ডল আইনগত মতামতে উল্লেখ করেন। এদিকে বেল্লাল হোসেন ছিলেন মাদকাসক্ত। যে কারণে একপুত্র ও কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণের পরও সুস্থ্য না হওয়ায় মাদকাসক্ত স্বামী ছেড়ে পুত্র জাহাঙ্গীর ও কন্যা হীরা কে নিয়ে চলে যান তার স্ত্রী। তবে বেল্লালের বসবাসের কোন জায়গা না থাকায় সমেত্বভানের কাছ থেকে খরিদা সূত্রে মালিক শামসুল আলম মানবিক বিবেচনায় তাদের সম্পত্তিতে বেড়ার একটি ঘরে বসবাসের জন্য বিল্লালকে অনুমতি দেন। কিন্তু ২০১৫ সালে বিল্লালের মৃত্যুর পর তার পুত্র জাহাঙ্গীর ও কন্যা ওই সম্পত্তি পৈত্রিক দাবি করে শামসুল আলমসহ তার পরিবারকে হয়রানির ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। জাহাঙ্গীরের অভিযোগ পিতার মৃত্যুর আগে তার নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়। কিন্তু বেল্লাল আগে থেকেই তার স্বত্ব হারিয়ে ফেলেছে। তাহলে কিভাবে তিনি রেজিষ্ট্রি করে দিলেন? তাছাড়া রেজিষ্ট্রি করে দিলেও আগে থেকেই বেল্লাল স্বত্ব হারিয়ে ফেলেছে। এজন্য ওই রেজিষ্ট্রিকৃত দলিল গ্রহণ যোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন জজ কোর্টের আইনজীবী এড. তারক কুমার মিত্র, এড. গোলাম মোস্তফা ও এড. রঘুনাথ মন্ডল। এদিকে, শিক্ষক শামসুল আলম ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতে পুলিশের কাছে একের পর এক অভিযোগ করে চলেছেন। তাছাড়া জাহাঙ্গীর ওই ঘরের কাজও শুরু করেছে। এব্যাপারে শিক্ষক শামসুল আলম সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলে গত শনিবার বিকালে উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বসাবসি করা হয়। সেখানে কোন সমাধান না হওয়ায় পরবর্তী নতুন তারিখ দেয়া হয়েছে। তারপরও আইন ভঙ্গ করে জাহাঙ্গীর ওই ঘরে আবারও বাঁশ খুটি নিয়ে মেরামতের কাজ শুরু করলে সদর থানার এএসআই সাইফুল তা বন্ধ করে দেয়। এব্যাপারে সদর থানার এএসআই সাইফুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে বসাবসি করেছি কিন্তু সমাধান না হওয়ায় মঙ্গলবার পুনরায় তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে।