ফিচার

করোনা জয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

By Daily Satkhira

October 15, 2020

অনলাইন ডেস্ক : বহু দুশ্চিন্তা, প্রতীক্ষার পর অবশেষে করোনাভাইরাস রিপোর্ট “নেগেটিভ” এলো বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের।

এমনকী, বর্তমানে চিকিৎসাতেও সাড়া দিচ্ছেন ৮৫ বছর বয়সী এই কিংবদন্তী।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) অভিনেতার দ্বিতীয়বার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে কালজয়ী এই অভিনেতার টেস্ট রিপোর্ট “নেগেটিভ” এসেছে বলে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

চিকিৎসকরা জানান, গত ৫ অক্টোবর তার করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে বুধবার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের করোনাভাইরাস রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও এখনও বিপদমুক্ত নন তিনি। তবে এই মুহূর্তে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় সৌমিত্রকন্যা পৌলমী বসু জানান, “আমার বাবা আজ আরও একটু ভালো আছেন, কালকের তুলনায় আজ ১% উন্নতি হয়েছে। আজও আরও কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে, আগামীকাল সেগুলির রিপোর্ট হাতে পাবো হয়ত। আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ- আপনাদের প্রার্থনা ও ভালোবাসার জন্য।”

একইসাথে, হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দু’বার প্লাজমা থেরাপিতে ভালো সাড়া দিয়েছেন অভিনেতা। গত শনিবার ও রবিবার পরপর দু-দিন দাদাসাহেব ফালকে বিজয়ী এই অভিনেতাকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়।

বুধবার সকালে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, উনি স্থিতিশীল, রাতে ভালো ঘুমিয়েছেন। শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ একটু বেশি রয়েছে। তাছাড়া, শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার স্বাভাবিক রয়েছে।

গত ৬ অক্টোবর করোনাভাইরাস আক্রান্ত সৌমিত্র ভর্তি হন বেলেভিউ হাসপাতালে, শুরুর দিকে তার শারীরিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও গত শুক্রবার তা আচমকাই খারাপের দিকে চলে যায়। এরপর আইটিইউ’তে স্থানান্তরিত করতে হয় অভিনেতাকে। এই মুহূর্তে ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ অরিন্দম করের নেতৃত্বে গঠিত ১৬ জন চিকিৎসকের একটি দল প্রতিমুহূর্তে সৌমিত্রর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

তবে তার প্রোস্টেট ক্যানসার ফের মাথাচাড়া দিয়েছে, ছড়িয়ে পড়েছে ফুসফুস ও মস্তিষ্কে। মূত্রথলিতেও সংক্রমণ রয়েছে। এই বিষয়গুলি প্রতিমুহূর্তে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আদি বাড়ি বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার শিলাইদহ। তবে পিতামহের আমল থেকেই তাদের পরিবার পশ্চিম বঙ্গের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে স্থায়ীভাবে বসতি গড়েন। ওই বাড়িতেই জন্ম তার। শৈশব কাটে তার সেখানেই। কৃষ্ণনগরের সেন্ট জন্স স্কুলে তার পড়াশোনায় হাতেখড়ি। বাবার কর্মস্থল পরিবর্তনের সাথে সাথে বদল হতে থাকে স্কুল। হাওড়া জেলা স্কুলে মাধ্যমিক পড়াশোন শেষ করেন। এরপর কলকাতার সিটি কলেজ থেকে আইএসসি আর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বি এ অনার্স সম্পন্ন করেন। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ অফ আর্টসেও দু বছর পড়াশোনা করেন তিনি।