এম বেলাল হোসাইন: নতুন জামা কাপড় কিনে দেওয়ার নাম করে বাবার বন্ধু ও তার তিন সহযোগির দ্বারা গণধর্ষিত স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিচারিক হাকিম মোঃ হাবিবুল্লাহ মাহমুদ তার খাস কামরায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এদিকে বাড়িতে রেখে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে পুলিশ সদর উপজেলার এল্লারচর গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ডাইলয়া বেগমকে আটক করেছে। প্রসঙ্গত, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সুভদ্রকাটি গ্রামের চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন সানা তার এলাকার এক বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর সূত্র ধরে তার অষ্টম শ্রেণির স্কুল পড়–য়া মেয়েকে নতুন জামা কাপড় কিনে দেওয়ার নাম করে শনিবার সকালে বাড়ি থেকে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসে। মাগরেবের আযানের পর সোহরাব তার মুনজিতপুরের বাসায় নিয়ে যাওয়ার নাম করে একটি বিরিয়ানি ও ঠা-া পানীয় এর সাথে নেশা জাতীয় কিছু পান করিয়ে এল্লারচরে ডালিমা বেগমের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সোহরাবসহ চারজন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা সোহরাব ও মোস্তাফিজুরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে ওই স্কুল ছাত্রীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদি হয়ে রোববার সদর থানায় মামলা দায়ের করে। সোমবার মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা মেষে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।