কালিগঞ্জ

কা‌লিগ‌ঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনে মিলন মেলায় নিরাশ না হ‌য়ে পার্ক ঘু‌রে বা‌ড়ি ফির‌লো দর্শনার্থী‌রা

By daily satkhira

October 26, 2020

কা‌লিগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধিঃ কা‌লিগঞ্জের সিমান্তঘেষা কা‌লিন্দী, ইছামতি ও কাঁক‌শিয়ালী নদীর ত্রি-মোহনায় এবা‌রের দুর্গাপূজা দুই বাংলার দর্শনার্থী‌দের আনন্দ ও মিলন মেলা হতাশায় প‌রিনত হ‌লেও অব‌শে‌ষে তারা পার্ক ঘু‌রে কিছুটা অানন্দ নি‌য়ে বা‌ড়ি‌তে ফি‌রে‌ছে। খোঁজ খবর নি‌য়ে জানা যায়, ১৩৪১ খ্রিস্টাব্দে রাজা প্রতাপাদিত্যে ও বসন্ত রায়ের স্মৃতিবিজড়িত এলাকায় প্রভাবশালী মাখন লাল চন্দ্র, অসিম চন্দ্র, হিমাংস চন্দ্রদের রে‌খে যাওয়া পরিত্যক্ত বাড়ি চন্দ্রভবন‌কে সম্প্রতি জেলা প্রশাসক “বসন্তপুর রিভার ড্রাইপ ই‌কো পার্ক” নাম ঘোষনা দেওয়ায় কিছুটা হ‌লেও আনন্দ ফি‌রে পে‌য়ে‌ছে অাগত দর্শনার্থীরা। স্বল্প সময়ের মধ্যে জেলা প্রশাসক এসএম, মোস্তফা কামাল পা‌র্কটি উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল। সোমবার দুপু‌রের পর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ ‌মিলন মেলায় আসতে শুরু করে। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, হাজার হাজার নারী, পুরুষ, শিশুসহ দর্শনার্থীরা নদীর পা‌ড়ে প্রতিমা বিসর্জন উপভোগ করতে এ‌সে নিরাশ হয়ে দাঁড়িয়ে থা‌কে। এসময় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি’র সদস্যরা নদীতে স্প্রীটবোর্ড চা‌লি‌য়ে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টহল দিতে দেখা গেছে। এসময় উৎসুক কিছু জনতা নদীতে মাছ ধরার নৌকায় চ‌ড়ে আনন্দ উপভোগ করতে থাকলে বিজিবি’র সদস্যরা তাদেরকে বাঁধা দি‌য়ে কিনারে উঠতে বলে। অবশেষে দূরদূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থী ও ভ্রমণপিপাসুরা জেলা প্রশাসকের দেওয়া বসন্তপুর রিভার ড্রাইপ ই‌কো পার্ক ঘুরে বাড়িতে ফেরেন। স্থানীয় গ্রামবা‌সি আব্দুল হামিদ গাজী (৭০), ইয়া মোল্লা (৭৫), সন্তোষ শর্মা (৬৮) সহ প্রবীণ ব্যক্তিরা এ প্রতি‌নি‌ধি‌কে জানান, ততকালীন সময়ের কালিগঞ্জের ঐতিহ্য বসন্তপুরের রামজননী ও পরিত্যক্ত চন্দ্রভবন। উপ‌জেলা এলাকায় তেমন কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় প্রাচীনতম এই ভবন গু‌লো এক নজর দেখার জন‌্য বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থী ও ভ্রমণপিপাসুরা এখা‌নে ছুটে আসেন। তখনকার সময় চুক্তি মোতাবেক বসন্তপুর পোর্টটি চালু ছিল। কালের ক্রমে সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাষ্টম গোডাউনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নজরে নিলে এ অঞ্চলের মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ বেকার যুব সমা‌জের কর্মসংস্থানের পথ তৈরি হবে।