অনলাইন ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর মাটিতে পোঁতা অবস্থায় আসাদ মিয়া (৬০), তার স্ত্রী পারভীন খাতুন (৪০) ও ছেলে লিয়নের (১২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিযনের জামষাইট কান্দাপাড়া গ্রামে থেকে একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, উপজেলার জামষাইট গ্রামের মির হোসেনের ছেলে আসাদ ও স্ত্রী-ছেলেকে হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে আসদের বড় ছেলে মোফাজ্জল কটিয়াদী থানায় তার বাবা-মা ও ভাইকে খুঁজে না পেয়ে থানায় জিডি করতে যান। পরে পুলিশ ছায়া তদন্ত করতে এসে দেখে বাড়ির পাশে নতুন কবর। সেখানে একটু খোঁড়াখুড়ি করলে একটি ছোট ছেলের হাত পাওয়া যায়। পরে রাতে পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদের নেতৃত্বে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের লাশ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।
আসাদ ও পারভীনের বড় ছেলে তোফাজ্জল ঢাকায় থাকেন। তাদের মেঝ ছেলে মোফাজ্জল ঘটনার দিন নানাবাড়িতে ছিলেন। মোফাজ্জল জানিয়েছেন, তার বাবার সঙ্গে চাচাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল।
স্থানীয় সাবেক মেম্বার কামাল হোসেন বলেন, জমি নিয়ে ভাই বোনদের বিরোধ ছিলো। শনিবার (৩১ অক্টোবর) এ ব্যাপারে সালিশ হওয়ার কথা ছিলো।
পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে আমরা তদন্ত শুরু করি। পরে বাড়ির পাশে মাটিচাপা দেয়া তিনটি লাশ উদ্বার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন নিহত আসাদের ছোট ভাই দীন ইসলাম, বোনজামাই ফজলুর রহমান, বোন তাসলিমা ও নাজমা।
হোসেনপুর সার্কেলের (হোসেনপুর-কটিয়াদী) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সোনাহর আলী শরীফ জানান, একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানা যাবে।