সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় জমি বিরোধে আইনজীবী সহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত

By daily satkhira

October 30, 2020

নিজস্ব প্রতিনিধি: আইনজীবীকে মারপিট করে সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে। মারপিটে ৪ জনের মধ্যে দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে ও দুইজনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে শহরের পলাশপোল মোজাহারের পেট্রল পাম্পের পাশে এ ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় সাতক্ষীরার আইনজীবীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আহতরা হল, এড. এটিএম ফকরুল আলম বাবু, আইনজীবীর ভাই সাইফুল আলম, একরামুল, নূরুল আলম। আহত আইনজীবী ও তার পরিবার জানায়, সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল মৌজায় এস এ ২৯১৭ খতিয়ানের ১১২৬৮ দাগের .১৪০০ একর সম্পত্তির মালিক আব্দুল মালেক। আব্দুল মালেকের ওয়ারেশ হিসেবে স্ত্রী নেছারন ও ৫ পুত্র থাকেন। পুত্রদের মধ্যে বেল্লাল নাবালক থাকা অবস্থায় তার অংশের .০১৭৫ এবং স্ত্রী নেছারনের অংশের .০১৭৫ একর সম্পত্তি গত ১৩ অক্টোবর ১৯৭৭ সালে ৮৪৩৫ নং রেষ্ট্রি: কোবলামূলে ময়েনআলীর স্ত্রী সমেত্বভান বিবির নিকট হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে সমেত্বভান বিবির নিকট থেকে এড. আশরাফুল আলমের পরিবার তা ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন। এদিকে, নাবালোক বেল্লাল সরদারের অভিভাবক হিসেবে ১৩ অক্টোবর ১৯৭৭ সালে ৮৪৩৫ নং কোবলায় সমেত্বভান খরিদ করায় এবং ২৩ জুন ৯৫ এবং ২৫ জুন ৯৫ তারিখে ডিক্রির আলোকে উক্ত বেল্লাল হোসেনের স্বত্ব বিনষ্ট হয়েছে মর্মে সাতক্ষীরার জজকোর্টের প্যানেল আইনজীবী এড. তারক কুমার মিত্র, এড. গোলাম মোস্তফা ও এড. রঘুনাথ মন্ডল আইনগত মতামতে উল্লেখ করেন। তারপরও বেল্লাল সরদার গং ওই সম্পত্তি দাবী করে আসছে। অপরদিকে, বেল্লাল হোসেন ছিলেন মাদকাসক্ত। যে কারণে একপুত্র ও কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণের পরও সুস্থ্য না হওয়ায় মাদকাসক্ত স্বামী ছেড়ে পুত্র জাহাঙ্গীর ও কন্যা হীরা কে নিয়ে চলে যান তার স্ত্রী। তবে বেল্লালের বসবাসের কোন জায়গা না থাকায় সমেত্বভানের কাছ থেকে খরিদা সূত্রে এড. আশরাফুল আলমের পরিবার মানবিক বিবেচনায় তাদের সম্পত্তিতে বেড়ার একটি ঘরে বসবাসের জন্য বিল্লালকে অনুমতি দেন। কিন্তু ২০১৫ সালে বিল্লালের মৃত্যুর পর তার পুত্র জাহাঙ্গীর ও কন্যা ওই সম্পত্তি পৈত্রিক দাবি করে কোন স্বত্ব না থাকার পরও কৌশলে সম্পত্তি দখল করতে ওই আইনজীবী সহ তার পরিবারকে হয়রানি করতে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে কয়েকবার থানায় ও স্থানীয় পর্যায়ে বসাবসিও হয়েছে। কিন্তু তার কোন সুরাহা হয়নি। বেল্লাল গং কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে ওই আইনজীবী পরিবারের সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণ করলে সদর সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করা হয়। যার নং- ১৫২/২০। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শহরের পলাশপোল এলাকার হাফিজুল, রবিউল (দবির), আনোয়ার হোসেন ও ফজিলার নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর, দুলাল, এরশাদ, ছোট বাবুসহ প্রায় ৩০/৪০ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শুক্রবার সকালে এড. আশরাফুল আলম পরিবারের সম্পত্তিতে দেয়া একটি সীমানা প্রাচীর ভাংতে আসে। এসময় তারা বাধা দেওয়ায় এড. আশরাফুল আলমের ভাই এড. এটিএম ফকরুল আলম বাবু সহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করে। এসময় প্রাচীর ভাঙ্গার সময় দখল করতে আসা দুইজন ইটের আঘাতে আহত হয় এবং ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তারা সদর হাসাপাতালে ভর্তি হয়। এব্যাপারে জাহাঙ্গীর হোসেনের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমরা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণ করেছি। তাছাড়া আমাদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় তা ভেঙ্গার সময় আমাদের দুইজনকে মারপিট করে আহত করা হয়েছে। এঘটনায় সাতক্ষীরার আইনজীবীরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।