খেলা

আজ বিকেলে মাঠে নামছে টাইগাররা

By Daily Satkhira

May 12, 2017

কন্ডিশনিং ক্যাম্প, প্রস্তুতি ম্যাচ সবই হলো। এবার এলো লড়াইয়ের অপেক্ষা। আজ ডাবলিনে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডকে নিয়ে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ। প্রথম ম্যাচে আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেলে আইরিশদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আসুন মূল লড়াইয়ের আগে কিছুটা স্মৃতিকাতর হই। ওয়ানডেতে এর আগের সাক্ষাৎগুলোতে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের পরিসংখ্যানের দিকে খানিকটা চোখ বুলাই।

এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে আয়াল্যান্ডের সঙ্গে সাতবার সাক্ষাৎ হয়েছে বাংলাদেশের। যার মধ্যে পাঁচটিতেই জয়ের দেখা পেয়েছে লাল-সবুজের দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রিজটাউনে দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে হেরেছিল বাংলাদেশ। আইরিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বশেষ হারটি হয় বেলফাস্টে ২০১০ সালে। সেদিন সেঞ্চুরি করে একাই বাংলাদেশের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেন উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। এরপর অবশ্য ক্রিকেটের নবীনতম এই দেশটির বিপক্ষে আর হারেনি বাংলাদেশ।

দুদলের সাত লড়াইয়ে সর্বোচ্চ রানের স্কোরটি বাংলাদেশের। ২০০৮ সালে মিরপুরে তামিমের শতকে ৭ উইকেটে ২৯৩ রান করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের স্কোরটি ২৪৩ রানের। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই রান করে আয়ার‍ল্যান্ড।

দুদলের মধ্যে সর্বনিম্ন রানের স্কোরটি আয়ারল্যান্ডের। ২০০৮ সালে মিরপুরে এই রান করে আয়ারল্যান্ড। সেদিন ৪২ রানে ৫ উইকেট নেন ফরহাদ রেজা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি ১৬৯ রানের।

দুদলের সাত সাক্ষাতে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তামিম ইকবাল। ৭ ম্যাচে ৪৮ গড়ে ৩৪০ রান করেন টাইগার ওপেনার। দেশ দুটির মুখোমুখি লড়াইয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটিও তামিমের। ২০০৮ সালে মিরপুরে ১২৯ রান করেন তামিম। আইরিশদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে দুটি সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশ। তামিম ছাড়াও অপর শতরানটি করেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। আয়ারল্যান্ডের হয়ে একমাত্র শতকটি করে উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড (১০৮)। সবচেয়ে বেশি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন শাহরিয়ার নাফীস (৩)। আয়ারল্যান্ডের পোর্টারফিল্ড একটি শতক ছাড়াও দুটি অর্ধশতক করেন টাইগারদের বিপক্ষে।

ওয়ানডেতে দুদলের লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন সাকিব আল হাসান (১১)। এরপর রয়েছেন ল্যাঙ্গফোর্ড স্মিথ (৯)। ৮ উইকেট নিয়ে পরের তিনটি নাম শফিউল, ট্রেন্ট জনস্টন ও আবদুর রাজ্জাক।

আগামী ২৪ মে পর্যন্ত এই সিরিজ চলবে। প্রতিটি দল প্রত্যেকের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। এরপর ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১ জুন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।