আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড.আব্দুল লতিফের অনিয়ম দূর্ণীতি ও সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগের নামে ঘুষ গ্রহণ, প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবীকে পুরষ্কৃত করে পূণরায় অতিরিক্ত পিপি নিয়োগ, পরীক্ষীত নেতা কর্মীদের বঞ্চিত করে স্বাধীনতা বিরোধীদের সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জজ কোর্ট সংলগ্ন শহীদ মিনারের পাদদেশে উক্ত বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং সাবেক অতিরিক্ত পিপি এড. আজহার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক পিপি অ্যাড. ওসমান গণি, এড. সঞ্জয় রায় চৌধুরী, এড. সাহেদুজ্জামান সাহেদ, সাবেক অতিরিক্ত জিপি অ্যাড. নওশেল আলী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, বর্তমান জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ ভারতীয় গরুর খাটাল ব্যবসার সাথে সোনা পাচার করে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আব্দুল লতিফ ওরফে খাটাল লতিফ পিপিশিপ দেওয়ার নাম করে ১৫ জন আইনজীবীর কাছ থেকে মাথাপিছু ৭০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। তিনি মামলা পরিচালনার সময় আসামীপক্ষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে থাকেন। তিনি এর আগে বিডিআর এ চাকুরি করাকালিন দূর্ণীতির দায়ে বহি®কার হন। তিনি যে স্নাতক সনদ সংগ্রহ করেছেন তা যথাযথ নয়। ওই সনদ যাঁচাই এর জন্য কয়েকজন আইনজীবী আইন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। ২০০২ সালে কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. জিল্লুর রহমান আসামীপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় তৎকালিন পিপি অ্যাড. ওসমান গণি তাকে বহিষ্কার করলেও বর্তমান পিপি তাকে আবারও পিপিশিপ দিয়ে পুর®কৃত করেছেন। তার বিরুদ্ধে বহু নারী কেলেঙ্কারীরও অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ঘুষ দূর্ণীতির বিনিময়ে তিনি স্বাধীনতা বিরোধী আইনজীবীদের পিপিশিপ দিয়েছেন। এসব নিয়ে আইনজীবীরা প্রতিবাদ ও প্রধানমন্ত্রি বরাবর স্মারকলিপি দেয়ায় তাদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বক্তারা এ সময় পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফকে অবিলম্বে পিপিশিপ থেকে পদত্যাগ না করলে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসুচি দিতে বাধ্য হবেন বলে জানান। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তারা তার কুশপুত্তলিকায় জুতোপেটা করে দাহ করেন।